মুসলমানদের আত্মবিস্মৃতি ও বোকামীর সেকাল-একাল

Imageপৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতির দাবিদার মুসলমান। এর পেছনে বহুবিধ কারণ আছে। আদর্শের বলিষ্ঠতা, জীবনপ্রবাহ ও আচারনিষ্ঠায় গতিশীলতা তাদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য। ঐতিহ্য ও বৈশিষ্ট্যের গুণে মুসলিম জাতি এক সময় সারা বিশ্ব শাসন করেছে। মুসলমানদের এই ঈপ্সিত সাফল্যে অপরাপর জাতিসমূহ ঈর্ষা বা হিংসায় কাতরিয়েছে। মুসলমানদের অগ্রযাত্রা ও গতিশীল প্রবাহ থামিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা হয়েছে অসংখ্য বার। অপপ্রয়াসের এই ধারাবাহিকতায় সব বার সফল না হলেও বেশির ভাগই সফল হয়েছে। ইসলামবিদ্বেষী চক্রের এই সাফল্যের মূলে রয়েছে মুসলমানদের আত্মবিস্মৃতি ও বোকামী। ইতিহাসের পাতা উল্টালে, নানান বাঁকে ঢু দিলে এই সত্যতাটা উদ্ভাসিত হয়ে যাবে বার কাছে। নববী যুগ ও তৎপরবর্তী খোলাফায়ে রাশেদার স্বর্ণযুগ পেরিয়ে আসার পর থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের ইতিহাসটা বারবার হোচট খেয়েছে। উত্থান ও এগিয়ে চলার গতি বাহ্যত সচল থাকলেও এর সহজাত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আকস্মিক ধাক্কা সামলে ওঠার মতো আদর্শিক ও ঐতিহ্যিক মনোবল থাকায় তারা সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েনি। ধ্বংসস্তুপে পড়ে কাতরাতে কাতরাতে ফিরে পেয়েছে প্রাণের স্পন্দন। ইসলাম পৃথিবীতে যাত্রা শুরু করার পর থেকে যত ঝড়-ঝাপ্টা মুসলমানদের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে দুনিয়ার যে কোনো ধর্ম, আদর্শ ও মতবাদ এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে কালের গর্ভে নিশ্চিত হারিয়ে যেত। প্রাণশক্তিতে বলীয়ান একমাত্র মুসলিম জাতির পক্ষেই সম্ভব হয়েছে শত বিরূপতা ও প্রতিকূলতার মধ্যেও নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা।

রাসূলুল্লাহ সা. দুনিয়া থেকে বিদায় হয়ে যাওয়ার পর ইসলামের স্বর্ণযুগ খ্যাত খোলাফায়ে রাশেদার আমলেই বিভিন্ন প্রতিকূলতা ইসলাম ও মুসলমানদের আঁকড়ে ধরে। সে সময় শত্র“পক্ষের আঘাত যতটা না তাদেরকে ব্যতিব্যস্ততায় রাখে তার চেয়ে বেশি তটস্থ হয়ে পড়ে আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-সংঘাত সামাল দিতে। শ্রেষ্ঠ আদর্শের উজ্জ্বল নমুনা সামনে থাকা সত্ত্বেও ঠুনকো বিষয়ে তাদের বহুধা বিভক্তি এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায় যেখানে থেকে ফিরে আসাটা সহজ ছিল না। তাদের পারস্পরিক ঐক্য, সংহতি ও সহযোগিতাবোধ রূপ নেয় শত্র“তা, বিদ্বেষ ও ঘায়েল করার মানসিকতায়। মুসলমানরাই তখন মুসলমানদের বড় শত্র“ হিসেবে আবির্ভূত হয়। ঘরের শত্র“ বিভীষিকা যেখানে সক্রিয় সেখানে বাইরের শক্তির তৎপরতার কোনো প্রয়োজন পড়ে না। আভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-কোন্দল ও সংঘাতে মুসলমানদের অবস্থা তখন এমনিতেই ত্রাহি ত্রাহি। বহিঃশত্র“র কূট ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করার সুযোগ তখন আর হয়ে ওঠেনি। মূলত ১ম হিজরী শতকের শেষভাগ এবং দ্বিতীয় শতকের শুরুভাগে মুসলমানরা পারস্পরিক বিভেদের যে অনলে ভস্মিভূত হয়েছিল সেই দগদগে ক্ষত আজও তাদের গা থেকে শুকিয়ে যায়নি। বেদনার এই তীব্রতা আজও তারা অনুভব করেন শিরায় উপশিরায়। জ্বালাময় এ বেদনা তাড়া করে ফিরবে যতদিন তাদের অস্তিত্ব টিকে থাকবে পৃথিবীর বুকে।

উমাইয়া খেলাফতের পুরো সময়টাই মুসলমানদের অস্থিরতা ও দুর্ভাবনায় কেটেছে। দেশের পর দেশ ইসলামী খেলাফতের অধীনে এসেছে, কিন্তু এগুলোকে সুসংহত করে রাখার ক্ষেত্রে মুসলিম নেতৃত্বের বোকামীর ধরনটা ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজিত অঞ্চলসমূহে কাঠামোগত উন্নয়নের পরিবর্তে বাস্তবতাবিবর্জিত খেয়ালী পদক্ষেপ মুসলমানদের ভিত দুর্বল করে দেয়। রাষ্ট্রব্যবস্থার উন্নয়ন এবং জনগণের জন্য না ভেবে ব্যক্তিস্বার্থ ও প্রবৃত্তি চরিতার্থ করার অপরিণামদর্শী খেলায় মেতে উঠেন উমাইয়া খলিফারা। দু একজন ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশই নৈতিক স্খলন ও অপশাসনের দোষে দুষ্ট ছিলেন। মুসলমানদের উন্নয়ন, মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ সুসংহতকরণ এবং পরাজিত শক্তিসমূহকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না দেয়ার যে বিচক্ষণতা তা কোনো শাসকই দেখাতে পারেননি। মুসলমানদের শাসন বহাল আছে, এটাই ছিল তখন সান্ত্বনা, অন্যথায় নিজ ধর্ম ইসলাম তাদের কাছেও ছিল উপেক্ষিত, অবহেলিত ও অবমূল্যায়িত। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শের ধারক যে ধর্ম সে ধর্মের অনুসারীদের কাছে যখন নিজ ধর্ম চরমভাবে উপেক্ষার শিকার হয় তখন বোকামী ও অপরিণামদর্শিতার এর চেয়ে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে!

বিগত দেড় হাজার বছরের ইতিহাসে মুসলমানদের গৌরবমূলক অর্জন অনেক আছে একথা সত্য। কিন্তু বিশাল অর্জনকে সামান্য বোকামী ও অদূরদর্শিতা নস্যাৎ করে দিয়েছে এমন উদাহরণও কম নয়। একমাত্র মুসলমানরাই এমন জাতি যারা জাতিগত উন্নয়ন ও বিকাশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ও দীর্ঘ সময় অসচেতন ও আত্মবিস্মৃত থেকেছে। পৃথিবীর সব জাতি-গোষ্ঠীই নিজস্বতাকে বড় ও মহান করে তোলার ক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক চৌকষতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু মুসলমানরা বারবার তাদের মিশন ও ভিশন ভুলে আত্মবিস্মৃতির চোরাবালিতে হারিয়ে গেছে। তা না হলে শ্রেষ্ঠ আদর্শ ও আধ্যাত্মিক শক্তিতে বলীয়ান প্রাচুর্যময় জাতি মুসলমানরা কেন নানান সময় নিগৃহিত, নিপীড়িত ও নিষ্ঠুরতার শিকার হবে! নেতৃত্ব দেয়ার মতো সব যোগ্যতা মজুদ থাকা সত্ত্বেও কেন তারা হবে অন্যের অধীন, পদানত ও করুণার পাত্র। এর কারণ হলো, মুসলমান নিজেদের জাতিসত্তার গুণে যত তাড়াতাড়ি ঝলসে উঠতে পারে, দিগবিস্মৃত ও আদর্শহারা হয়ে গেলে তত তাড়াতাড়ি অস্তিত্ব ও স্বাতন্ত্রহীন হয়ে পড়ে। আবেগের তোড়ে যত দ্রুত তাদের উত্থানপর্বটা সাধিত হয় আদর্শচ্যুতি ও স্খলনের কারণে পতনটাও হয় তত ত্বরান্বিত। এই অতি কাতরতা ও প্রান্তিক অভ্যাসটা তাদের মধ্যে স্থান করে নেয়ার অন্যতম কারণ হলো বোকামী। বোকামীর চরম দণ্ড হিসেবেই ইতিহাসের নানা পর্বে মুসলমানদেরকে বড় মাশুল গুণতে হয়েছে। সম্ভাবনার সব দুয়ার তাদের সামনে উন্মোচিত ও অবারিত থাকা সত্ত্বেও তারা বাধাগ্রস্ত হয়েছে, বারবার হোচট খেয়েছে।

স্পেনে মুসলমানদের আটশ বছর শাসনের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। উমাইয়া শাসনামলেই তারিক বিন যিয়াদের নেতৃত্বে স্পেন বিজয় হয়। স্পেনীয় সভ্যতাকে মুসলমানরা ঐতিহ্য ও গৌরবের এমন শীর্ষে পর্যায়ে নিয়ে যায় যার নজীর বিশ্ববাসীর সামনে খুব কমই আছে। কী ছিল না মুসলিম শাসনাধীন সেই স্পেনে! একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী মুসলমানদের সামনে চোখ তুলে তাকানোর মতো দুঃসাহসও তখনকার কোনো শক্তির ছিল না। তা সত্ত্বেও কেন স্পেনের মুসলমানদেরকে দুর্ভাগ্যজনক পরিণতির শিকার হয়ে হয়েছিল? কারণ সেই একটাইÑবোকামী, উদাসীনতা, অদূরদর্র্শিতা ও আত্মবিস্মৃতি। মুসলমানরা যখনই আত্মপরিচয়ের সঙ্কটে পড়েছে তখনই তাদের অস্তিত্বে চরম আঘাত এসেছে। নিজেদের ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি যখনই উদাসীনতা দেখিয়েছে তখনই চারদিক থেকে বিপদ তাদের ওপর আপতিত হয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে সামর্থ্যহীনতা ও উপকরণের দৈন্যতার কারণে মুসলমানরা পরাজিত হয়েছে কিংবা চরম সঙ্কটে পড়েছে এমন নজীর খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাদের যত পরাজয় ও পদানতি সবই আত্মবিস্মৃতি ও বোকামীর ফসল। গৌরবের স্পেন মুসলমানদের হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পেছনেও দায়ী তাদের আত্মবিস্মৃতি ও বোকামী। অঢ়ৎরষ ঋড়ড়ষ বা এপ্রিলের বোকা নামে মুসলমানদেরকে বোকা বানিয়ে নিষ্পেষিত করার যে কাহিনীটা প্রচলিত আছে এর ঐতিহাসিক ভিত্তি যাই হোক, তাদের দুর্ভাগ্যজনক করুণ পরিণতি সম্পর্কে কারো কোনো সন্দেহ নেই। বোকামীর এই দণ্ড মুসলমানদের জন্য নতুন কিছু নয়। যুগে যুগে ইতিহাসের নানা বাঁকে তারা তাদের সত্তাগত পরিচয় ভুলে কখনও বোকা হয়েছে, কখনও অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে, আবার কখনও সব কূল হারিয়ে সম্বিত ফিরে পেয়েছে। এভাবেই চলছে মুসলমানদের ইতিহাসের গতিধারা।

আটশ বছরের মুসলিম সভ্যতার ঐতিহ্যে ঋদ্ধ স্পেন হাতছাড়া হয়ে যাওয়ার পরও মুসলমানদের আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হয়েছে একথা বলা যাবে না। কারণ এই পরিণতি সম্পর্কে আত্মবিশ্লেষণ করা এবং ভবিষতে যেন এ ধরনের অনাহুত পরিস্থিতির শিকার হতে না হয় এর ন্যূনতম প্রচেষ্টাও তাদের থেকে লক্ষ্য করা যায়নি। ভোগ-বিলাসপ্রিয় ঘুমকাতুরে ও অলস এই জাতি নিজেদের ভুলগুলো শুধরে নেয়ার প্রচেষ্টায় তৎপরতার পরিচয় দিতে পারেনি কখনও। এজন্য বারবার তারা প্রবঞ্চিত হয়েছে, ধোঁকায় পড়েছে। তাদের এই নির্মোহতা ও নিস্পৃহতার সুযোগ নিয়ে শত্র“পক্ষ বরাবরই তাদের ওপর চেপে বসেছে, অস্তিত্বের ওপর চরমভাবে আঘাত হেনেছে। শত্র“দের রুদ্ররোষের শিকার হওয়ার মূল কারণ একটাইÑআত্মবিস্মৃতি ও বোকামী।

উমাইয়া, উসমানী ও আব্বাসীয় খেলাফতÑসবকালেই মুসলমানরা তাদের লক্ষ্যহীনতার কারণে চরম সঙ্কটের মুখোমুখি হতে হয়েছে। নিজেদের অস্তিত্বের গোড়া সবল করার আকুলতা তাদের মধ্যে কখনও লক্ষ্য করা যায়নি। সুদূরপ্রসারী কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার প্রতি তাদের মনোযোগ বরাবরই একটু কম। সুদৃঢ় আগামী বিনির্মাণের সব মাল-মসল্লা মজুদ থাকা সত্ত্বেও সুখনিদ্রার ঘোরে পড়ে সব কর্তব্য বেমালুম ভুলে থেকেছে। খেলাফতব্যবস্থা যতদিন পৃথিবীতে কায়েম ছিল ততদিন কোনো না কোনোভাবে মুসলমানরাই ছিল সব চালিকাশক্তির কেন্দ্রবিন্দু। অপার সম্ভাবনার বহু দিগন্ত তাদের সামনে উন্মোচিত ছিল। কিন্তু আলস্যের বিভোরতায় তারা এতটাই বুদ হয়ে রয়েছিল যে, এসব বিষয়ে ভাববার মতো চেতন তাদের মধ্যে সক্রিয় ছিল না। নামমাত্র মুসলিম শাসক অথচ শাশ্বত ইসলামের কোনো বালাই তাদের মধ্যে ছিল না। ফল এই হয়েছে যে, শেষ ভরসাস্থল খেলাফত ব্যবস্থাটুকুও বিলুপ্ত হয়েছে।

ইসলামের ঐতিহ্যিক ও গৌরবের ধারা খেলাফতব্যবস্থার নির্মূলের পর মুসলমানদের দৈন্যদশার বিষয়টি সবার কাছে পরিষ্কার। মুসলিম জাতিসত্তার পরিচয় বহনকারী শেষ চিহ্নটুকুও তখন তাদের থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। বিজাতীয় আদর্শের কাছে লীন হয়ে যেতে থাকে তাদের স্বাতন্ত্র, শ্রেয়বোধ ও সম্ভাবনাময় অস্তিত্ব। ডুবন্ত তরীর অসহায় যাত্রীরা অকূল দরিয়ায় যেভাবে হাতড়িয়ে মরে মুসলমানদের অবস্থাটাও তখন থেকে তাই হয়েছে। অস্তিত্বের এই টানাপোড়েনের মুহূর্তেও কাক্সিক্ষত শুভবুদ্ধির উদয় তাদের মধ্যে ঘটেনি। আত্মবিস্মৃত এ জাতি কঠিন সেই মুহূর্তেও অপরিণামদর্শী ও অপরিপক্ক আচরণের দ্বারা জাতিসত্তাকে চরম হুমকির মুখে ফেলেছে। জাতিগতভাবে মুসলমানরা আজ সারা বিশ্বে তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মবিস্মৃতি ও বোকামীর দায় বয়ে বেড়াচ্ছে। দুনিয়ার কোনো প্রান্তে আজ মুসলমানদের স্বস্থি ও স্বচ্ছন্দময় অস্তিত্ব কায়েম নেই। বিশ্বমোড়ল যারা মুসলমানদের ভাগ্য নির্মাতা হিসেবে ঝেঁকে বসেছে তাদের মনোবাঞ্চা পূরণ এবং মনোরঞ্জনই এখনকার মুসলমান তথা মুসলিম নেতৃত্বের পবিত্র কর্তব্য। এই কর্তব্যবোধই আজ দেড়শ কোটি মুসলমানকে সব সময় তাড়িত করে। প্রভুরূপী শত্র“দের ধূর্ততা ও হীন কৌশল বুঝে ওঠার সচেতনতাটুকু মুসলমানদের মধ্যে আর অবশিষ্ট নেই। আত্মবিস্মৃতির এই বেড়াজালে পড়ে কোনটা বোকামী আর কোনটা যথার্থ সেটা নির্ণয় করার যোগ্যতাটুকুও দুর্ভাগ্যজনকভাবে মুসলমানদের মধ্যে অনুপস্থিত। সুতরাং মুসলিম জাতীয়তাবোধের সস্তা বুলি আওড়িয়ে কোনোই লাভ নেই।

এপ্রিল ফুল বা শুধু এপ্রিলের একদিন বোকা হওয়া পর্যন্তই মুসলমানদের বোকামীর মাত্রা সীমাবদ্ধ নয়। ইতিহাসের নানা বাঁকে তারা অপরিণামদর্শী আচরণের দ্বারা যেমন বোকামীর পরিচয় দিয়ে আসছে সে ধারা আজও অব্যাহত আছে। আত্মবিস্মৃতি ও বোকামীর যুগপৎ মহড়ায় মুসলমানরা সব কালেই সেরা। অনাহুত ও দুর্ভাগ্যজনক এই খ্যাতি বা কুখ্যাতি থেকে যতদিন মুসলিম জাতি পবিত্র না হবে ততদিন তাদের ভাগ্যে কোনো পরিবর্তনের আশা করা যায় না।

*

*

Top