মনীষা/স্মৃতি articles

হৃদয়ে তিনি মননে তিনি

হৃদয়ে তিনি মননে তিনি

জহির উদ্দিন বাবর বাংলাদেশে বড় আলেমের সংখ্যাটা খুব কম না। তবে তাদের মধ্যে দুজন আলেমের প্রতি আমার দুর্বলতা ছোটবেলা থেকেই একটু বেশি। তাদেরই একজন মাওলানা আতাউর রহমান খান রহ.। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের ঘাগড়া মাদরাসায় যখন পড়ি সম্ভবত তখনই আতাউর রহমান খানের নাম শুনি। তখন তিনি কিশোরগঞ্জ সদরের এমপি। কিন্তু কখনও তাঁকে দেখা হয়ে উঠেনি। সম্ভবত ১৯৯৫

যাঁকে দেখলে আল্লাহর কথা স্মরণ হতো

জহির উদ্দিন বাবর ফোকাসে থাকা শীর্ষ আলেমদের কেউ তিনি ছিলেন না। ‘হাঁকডাকে’র কোনো কর্মকাণ্ডে তাঁকে দেখা যেতো না। তবে দল-মত নির্বিশেষে সব মহলের কাছে একবাক্যে গ্রহণযোগ্যতা ছিল তাঁর। অনেক খুঁজেও ঢাকায় তাঁর সমকক্ষ ‘সর্বজন গ্রহণযোগ্য’ কোনো আলেম আমি অন্তত পাইনি। অভিভাবকতুল্য সেই আলেম শায়খুল হাদীস হযরত মাওলানা আবদুল হাই পাহাড়পুরী রহ. আজ চলে গেলেন না

যুগের প্রবর্তক ও প্রেরণার বাতিঘর

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিত এমন আলেমের সংখ্যা বাংলাদেশে নিতান্তই কম। হাতেগোনা এমন আলেমদের একজন ছিলেন হযরত মাওলানা মুহিউদ্দীন খান। গত ২৫ জুন তিনি চলে গেছেন আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে। তাঁর ব্যক্তিত্বের বিভা ও খেদমতের গণ্ডি অনেক বিস্তৃত। নানামুখী খেদমতের কারণে তিনি ছিলেন দেশ-বিদেশে পরিচিত। তবে আমি মনে করি তাঁর সব পরিচয় ছাপিয়ে শীর্ষ পরিচিতিটি হলো

যে সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের আগেই তিনি চলে গেলেন

এতটা হঠাৎ করে তিনি চলে যাবেন এটা ভাবিনি। সাতসকালে ফেসবুকের নিউজ ফিডে যখন খবরটি দেখি তখন অন্তরটি মোচড় দিয়ে উঠে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছিল। বারবার মনে মনে বলছিলাম, খবরটি মিথ্যা বা গুজব হোক। কিন্তু না, কিছুক্ষণের মধ্যে টিভি চ্যানেলগুলোর সর্বশেষ সংবাদে ভেসে উঠছে সড়ক দুর্ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ দুজন নিহত। বেলা যত বাড়তে থাকলো ফেসবুকের

যাঁর কাছে ঋণী এদেশের আলেমসমাজ

বিংশ শতাব্দীর ঊষালগ্নে ভারত উপমহাদেশের গগনে প্রৌজ্জ্বল দ্বীপ্তি নিয়ে আবির্ভূত হন মহান সংস্কারক সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.। যিনি বহুমুখী জ্ঞান, প্রজ্ঞা, আখলাক-চরিত্র, ইখলাস ও তাকওয়া দ্বারা ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহর সেবায় যুগান্তকারী অবদান রেখে গেছেন। বাতিলের তুফান থেকে ইসলামী প্রদীপকে রক্ষা করেছেন। যুগের দুর্যোগ থেকে মুসলিম উম্মাহর কাফেলাকে হেফাজত করেছেন। তাঁর মহান ব্যক্তিত্বের

একজন সাধক আলেমের বিদায়

নীরবেই চলে গেলেন বহু গ্রন্থপ্রণেতা এবং হাজারও আলেমের উস্তাদ মাওলানা নোমান আহমদ। দীর্ঘদিন ধরেই জটিল রোগে ভুগছিলেন। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে ৫৪ বছর বয়সে গত ৩১ অক্টোবর তিনি চলে গেলেন না ফেরার দেশে। তবে তাঁর এই চলে যাওয়া গতানুগতিক কোনো আলেমের বিদায়ের মতো নয়। তিনি ছিলেন একজন নীরব সাধক। কোরআন-হাদিস তথা দ্বীনের বিশুদ্ধ ধারায় বিরামহীন চর্চার

আজও অনুভূত হয় যাঁর শূন্যতা

তিনি ছিলেন একজন সাহসী, বলিষ্ঠ ও আপসহীন সিপাহসালার। তাঁর সাহসের কাছে নথি স্বীকার করতো বড় বড় অপশক্তি। যেটা তিনি ন্যায়ানুগ মনে করতেন তাতে অটল থাকতেন বলিষ্ঠভাবে। কোনোকিছু অন্যায় মনে করলে হুঙ্কার ছাড়তেন বাঘের মতো। অপশক্তি যত বড়ই হোক পরোয়া করতেন না তিনি। গোটা আলেমসমাজে তাঁর মতো সাহসী আর কেউ ছিলেন না। বিগত কয়েক দশকে এমন

ওপারেও ভালো থেকো তাজুল

তাজুল আমার সহকর্মী ও বন্ধু। ১০ নভেম্বর সোমবার বিকেলে চলে গেছে না ফেরার দেশে। তার চলে যাওয়াটা আকস্মিক না হলেও মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রায় দুই বছর ধরে ক্লোন ক্যানসারে ভুগছিল তাজুল। ধুকে ধুকে সে যে মৃত্যুর মুখে চলে যাচ্ছিল তা বছরখানেক আগেই টের পাওয়া গেছে।  তবে অনেক ক্যানসার রোগী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার নজির

সারল্যে ভরা দরদী অভিভাবক

সম্ভবত ২০০৫ সালে মাদরাসা দারুর রাশাদেই তাঁকে প্রথম দেখি। আমরা তখন সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী এডুকেশন সেন্টারের ছাত্র। আমাদের উদ্দেশে তিনি কিছু কথা বলেছিলেন। কথায় ছিল দরদ। ছিল প্রচণ্ড আবেগ ও জ্বলন। এর কিছুদিন পর আরজাবাদ মাদরাসায় রাবেতা আদবে ইসলামীর একটি সাহিত্য সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে আসেন। আমি ওই সাহিত্য সভায় একটি লেখা পাঠ

যে রত্ন হারিয়ে খুঁজি

নিকট অতীতের যে দু’জন শীর্ষ আলেমের ব্যক্তিত্ব আমাকে দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছিল তাদের একজন হলেন শায়খুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহ.। তাদের উভয়ের কাছে সরাসরি পড়ার সৌভাগ্যটুকু আমার হয়েছে। ইতোমধ্যে তাদের উভয়েই জান্নাতবাসী হয়ে গেলেন। একজন ছাত্রের কাছে তার উস্তাদ মহান হবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আমার প্রিয় এই দু’জন উস্তাদের ব্যক্তিত্ব ও খ্যাতি শুধু তাদের ছাত্রদের

Top