আমরা কি এই স্বাধীনতা চেয়েছিলাম!

zahirbaborমানুষের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি স্বাধীনতা। এই নেয়ামত থেকে যারা বঞ্চিত শুধু তারাই বুঝেন স্বাধীনতা কত বড় প্রাপ্তি। প্রত্যেক জাতিকেই স্বকীয়তা ও অস্তিত্ব লাভের আগে পরনির্ভরশীলতার ধাপটুকু অতিক্রম করতে হয়। আর এর জন্য কোনো কোনো জাতিকে দিতে হয় চরম মাশুল। আমাদের এই দেশ ও জাতির অস্তিত্ব লাভের পেছনেও এ পর্বটি পার হয়ে আসতে হয়েছে। অনেক কিছু বিসর্জনের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন জাতির অস্তিত্ব পেয়েছি। আমাদের জাতীয় জীবনেও স্বাধীনতা হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। আমাদের আছে একটি স্বাধীন ভূখণ্ড। আছে একটি ভালোবাসার পতাকা। আমরা বিশ্বের দরবারে স্বতন্ত্র একটি জাতি হিসেবে পরিচিত। এজন্য স্বাধীনতা নিয়ে আমাদের অহংকারের শেষ নেই। বিশাল ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা গর্বের একটি বড় স্থান। বিশ্বের অনেক দেশ বছরের পর বছর সংগ্রাম করেও স্বাধীনতা নামক নেয়ামতটি লাভ করতে পারছে না। দীর্ঘ সংগ্রামের পরিক্রমায় মাত্র নয় মাসের সশস্ত্র সংগ্রামেই আমরা ৫৬ হাজার বর্গমাইলের একটি ভূখণ্ড লাভ করেছি। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য আমাদের ত্যাগ ও বিসর্জন চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

স্বাধীনতার কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি রয়েছে। যেমন জাতীয়তাবোধ, দেশাত্মবোধ, কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার সামর্থ্য। কোনো জনগোষ্ঠী নিজেকে স্বাধীন জাতি হিসেবে তখনই ভাবতে পারে যখন তার মধ্যে জাতীয় চেতনাবোধ, ঐক্য ও সংহতি, আত্মনির্ভশীলতা, আত্মবিশ্বাস এসব মৌল উপাদান মোটাদাগে থাকে। দেশের নাগরিক হিসেবে প্রতিটি সদস্যের ওপর স্বাধীনতা সুরক্ষার পবিত্র দায়িত্ব বর্তায়। রাষ্ট্রের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য যেমন একজন নাগরিকের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকবে, তেমনি রাষ্ট্রের ইমেজ যেন কোনোভাবেই ক্ষুণ্ন না হয় সেদিকেও থাকবে তার সতর্ক দৃষ্টি। দেশপ্রেম ও জাতীয়তাবোধ থাকলেই কেবল একজন নাগরিক প্রকৃত অর্থে নাগরিকের মর্যাদা লাভ করতে পারে।

আমাদের স্বাধীনতার বয়স ৪৩ বছর। জাতীয়ভাবে যৌবনের ধাপ পেরিয়ে পৌঢ়ত্বের দ্বারপ্রান্তে আমরা। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে আমাদের প্রত্যাশার দিগন্ত যতদূর বিস্তৃত ছিল সে তুলনায় প্রাপ্তির খতিয়ান কি সন্তোষজনক! একসাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা লাভের পর আমাদের স্বপ্ন ছিল বিশাল, প্রত্যাশা ছিল দিগন্তপ্রসারী। স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে মনের মতো করে সবকিছু গড়বো, দেশকে সাজাবো অপরূপ সাজে, আমার মাতৃভূমি সবুজ-শ্যামল এই বাংলা হয়ে উঠবে একটি স্বপ্নপুরী, জাতি হিসেবে আমরা আসীন হবো শ্রেষ্ঠত্বের আসনে-এসব নানা সুখ-ভাবনায় আমরা ছিলাম বিভোর। স্বপ্নের ঘোরে হারানো বেদনাকে আমরা ভুলে গিয়েছিলাম অল্প দিনেই। সম্ভাবনার হাতছানি আমাদেরকে অতীতের দিকে ফিরে তাকানোর সুযোগই দেয়নি। কিন্তু আমাদের এই স্বপ্নের ঘোর কেটে যেতে বেশিদিন লাগেনি। সব স্বপ্ন হয়ে যায় ধূসর। যে প্রত্যাশা নিয়ে জাতি ত্যাগের পরাকাষ্ঠা দেখিয়েছিল সে প্রত্যাশার কিছুই পূরণ হয়নি। যে বাংলাদেশের স্বপ্ন আমরা দেখেছিলাম তার কিঞ্চিৎও বাস্তবে পাইনি। স্বাধীনতার লাভের কিছুদিনের মধ্যেই এক চরম অরাজকতা সৃষ্টি হয়। চারটি বিজয় দিবস পালন করতে না করতেই দুর্ভাগ্যজনক ট্রাজেডি, ষড়যন্ত্র, ক্যু-পাল্টা ক্যু পরিস্থিতিকে বিষিয়ে তোলে। অস্থিরতা ও হতাশায় ছেয়ে যায় পুরো জাতি।

আমাদের এই স্বপ্নভঙ্গের কারণ ছিল অনেক। তবে সবচেয়ে বড় কারণ ছিল নেতৃত্বের ব্যর্থতা। যারা সামনে থেকে, নেতৃত্বের আসনে বসে আমাদেরকে বিজয়ের মুখ দেখিয়েছিল তারাই আমাদের স্বপ্নভঙ্গের প্রধান কারণ। তাদের বিজয়ের পূর্বের ও পরের আচরণের মধ্যে তফাৎ ছিল বিস্তর। বিজয়ের পূর্বে যারা জনগণের অবিসংবাদিত নেতা ছিলেন, বিজয়ের পর তারাই ‘জনধিকৃত’ হলেন। ক্ষমতার মোহ তাদেরকে উম্মাদ করে তুলল। তাদের চারপাশে জড়ো হয়ে থাকা চাটুকারেরা দেশের সম্পদের ভাগ-বাটোয়ারায় মেতে উঠল। যুদ্ধবিধ্বস্ত এই দেশটাকে পুনর্গঠনের পরিবর্তে নিয়ে গেল চরম বিপর্যয়ের মুখে। ফলে লাখো শহীদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত এদেশ বিশ্বের দরবারে খেতাব পেল ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ হিসেবে।

সে সময় ক্ষমতা ও লুটেপুটে খাওয়ার যে রাজনীতির সূচনা হয়েছিল তা দিন দিন বেড়েই চলছে। ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে অনেকবার। শাসননীতিরও পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু পরিবর্তন হয়নি জনগণের ভাগ্যের। পূরণ হয়নি তাদের প্রত্যাশা। বাস্তবে রূপ লাভ করেনি তাদের স্বপ্ন। স্বাধীনতার এত বছর পরও এদেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। সীমান্তে লাশ পড়ে পাইকারি হারে। আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায় বিশ্ব মোড়লেরা। ভিনদেশীদের ইশারায় নিজেদের স্বার্থ বিসর্জন দিতেও কুণ্ঠাবোধ করি না। সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীর লোলুপ দৃষ্টি এদেশের ওপর নিবদ্ধ। আমাদের সামাজিক ব্যবস্থা অন্তহীন সমস্যায় জর্জরিত। দারিদ্রের যাঁতাকলে পিষ্ঠ হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ। না খেয়ে মারা যাওয়ার ঘটনা ঘটছে অহরহ। ন্যূনতম চিকিৎসার অভাবে প্রতিবছর মারা যাচ্ছে অসংখ্য লোক। পুষ্টিহীনতায় ভুগছে এদেশের সিংহভাগ শিশু। শুধু রাজধানীতেই ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। মানুষের মৌলিক অধিকার খাদ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান ইত্যাদি আজও নিশ্চিত হয়নি।

আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা লাভের প্রধান অন্তরায় প্রচলিত রাজনীতি। ক্ষমতায় যাওয়া আর ক্ষমতায় টিকে থাকার বিরামহীন প্রতিযোগিতা চলছে গত ৪৪ বছর ধরে। পালাক্রমে বারবার যারা আমাদেরকে শাসন করেছেন তাদের কেউই স্বাধীনতাকে সুসংহত করার চেষ্টা করেননি। প্রত্যাশিত দেশ গড়ার প্রতি কারো মনোযোগ ছিল না। তাদের নোংরা রাজনীতির বেহায়া প্রতিযোগিতায় আমরা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছি। রাজনৈতিক অস্থিরতা আমাদের জাতীয় উন্নতি-অগ্রগতির চাকাকে থামিয়ে দিয়েছে। দেশ ও মানুষের কথা ভাবার মতো রাজনীতিক প্রচলিত রাজনীতি খুব কমই জন্ম দিয়েছে। জনগণকে ভুলভাল বুঝিয়ে ক্ষমতায় গিয়ে তারা বারবার জনগণকে ধোঁকা দিয়েছেন। সরকার পরিবর্তন হয়েছে বহুবার, কিন্তু নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি। এজন্য বদলায়নি জনগণের ভাগ্য। ক্ষমতা আর ভোগ-বিলাস শুধু ৫ ভাগ মানুষের জন্য। আর বাকি ৯৫ ভাগ মানুষই চরমভাবে উপেক্ষিত, অবহেলিত ও রাজনৈতিক নোংরামির শিকার।

zahirbabor.com 2আমাদের স্বাধীনতার সুফল না পাওয়ার বড় দুটি বাধা হলো সন্ত্রাস ও দুর্নীতি। রাজনৈতিক আশ্রয়ে লালিত-পালিত সন্ত্রাস আজ বিষফোঁড়ার আকার ধারণ করেছে। জাতীয় ও সামাজিক জীবনে আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘর থেকে বেরিয়ে নিরাপদে ঘরে ফিরে আসার নিরাপত্তাটুকু আজ কেউ দিতে পারছে না। সন্ত্রাসের কাছে আমরা আজ প্রায় জিম্মি। যার ক্ষমতা আছে সেই রাঘববোয়ালের ভূমিকায় অবতীর্ণ। এজন্য ন্যায়-নীতি ও আদর্শকে বিসর্জন দিয়ে সবাই ক্ষমতা লাভের অসম প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ। ‘জোর যার মুল্লুক তার’ নীতিতে চলছে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র। সন্ত্রাস লালনের এই সংস্কৃতি আমাদেরকে পিছিয়ে রেখেছে সভ্য দুনিয়া থেকে। আর দুর্নীতিতে তো আমরা রীতিমতো চ্যাম্পিয়ন। সমাজের নিম্ন স্তর থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে পড়েছে দুর্নীতি। অনৈতিক এই কাজটি আজ আমাদের কাছে অন্যায় বলেই মনে হয় না। এজন্য ঘুষের মতো নিকৃষ্ট ও হারাম একটি জিনিসকে বৈধতা দেয়ার প্রস্তাব আসে দায়িত্বশীল লোকদের মুখ থেকে। সন্ত্রাস ও দুর্নীতির করালগ্রাস থেকে মুক্ত হতে না পারলে স্বাধীনতার সুফল ভোগ করা সম্ভব হবে না।

স্বাধীনতা শব্দটির অন্তরালে বিমূর্ত যে বাস্তবতা স্বাধীনতার এত বছর পরও তা আমরা খুঁজে পাইনি। স্বাধীনতার অন্তর্নিহিত যে দাবি তা আজও পূরণ হয়েছে বলে জোর দিয়ে বলতে পারবো না। আকারে-অবয়বে টিকে থাকাই একটি জাতিসত্তার যথার্থ পরিচয় নয়। অন্তরালের এমন কিছু দাবি, চাহিদা ও বাস্তবতা রয়েছে যা ব্যতিরেকে কোনো জাতির শেকড়-মূল সুদৃঢ় হয় না। যেমন ভূখণ্ড, সংস্কৃতি, ভাষা ইত্যাদির পাশাপাশি ধর্মও জাতি গঠনের অন্যতম মৌল উপাদান। প্রকৃতিগতভাবেই মানুষ ধর্মে বিশ্বাসী। দু’চারটি ব্যতিক্রম বাদে ধর্মকে অবিশ্বাস করা কিংবা অস্বীকার করার দুর্ভাগ্যজনক দুঃসাহস খুব কম লোকেরই আছে। অস্তিত্বের প্রেক্ষাপট যাই হোক আমাদের এদেশের প্রতিটি ধূলিকণার সঙ্গে ধর্মের যোগসূত্রতা অতি নিবিড়। আর এটা স্বতঃসিদ্ধ বিষয় যে, সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠীর ধর্মের প্রভাবটাই জাতীয়তায় পরিব্যপ্ত হয়। তাদের আশা-আকাক্সক্ষা, চাহিদা ও ধর্মীয় আবেগ পূরণের প্রতি লক্ষ্য রেখেই গৃহীত হয় জাতীয় কর্মসূচি। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের অবস্থাটা সম্পূর্ণ এর ভিন্ন। জাতীয় অস্তিত্বের সূচনাপর্ব থেকেই সিংহভাগ মানুষের প্রিয় ধর্ম ইসলাম এখানে উপেক্ষিত। ক্ষেত্র বিশেষে নিগৃহীত, নিষ্পেষিত এবং চরমভাবে অবদমিত। রাষ্ট্র পরিচালনায় যারা বাহ্যত কিংবা নেপথ্যে ভূমিকা রাখেন অজানা কারণে তাদের কাছে ইসলাম অবমূল্যায়িত। তাদের বড় অংশটা বিশ্বাসে ও আচার-আচরণে এ ধর্মের অনুসারী বলে দাবি করলেও সুযোগ পেলেই তারা নিজ ধর্মে কুঠারাঘাত করে বসে। বিচিত্র এদেশ! বিচিত্র এদেশের মানুষ! পৃথিবীর আর কোথাও নিজেদের হাতে নিজ ধর্ম এভাবে উপেক্ষিত ও অবদমিত হওয়ার নজির আছে কি-না আমাদের জানা নেই।

এদেশের সংসদে ইসলাম চরমভাবে উপেক্ষিত। রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্রে ইসলাম বা ইসলামী কোনো শব্দ থাকবে কি-না তা নিয়ে বিতর্ক হয়। দেশের আইন-আদালতগুলোতে ইসলামী বিচারব্যবস্থার কোনো কিছুই অনুসরণ করা হয় না। এমনকি কখনও কখনও সরাসরি কুরআন-হাদীস পরিপন্থী রায় দিয়ে বিতর্ক তোলা হয়। প্রশাসনিক কাঠামোর কোনো পর্যায়েই ইসলামের বালাই নেই। ইসলামপরিপন্থি আচরণে ছেয়ে আছে পুরো প্রশাসনিক ব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থায় ইসলাম উপেক্ষিত ছিল বরাবরই। বর্তমানে এতে যুক্ত হয়েছে নতুন মাত্রা। আমাদের মিডিয়ায় ইসলাম নেই। নিজেদের কাটতি বাড়ানোর জন্য ইসলাম প্রসঙ্গ যা কিছু রাখা হয়েছে তাও উপেক্ষা ও বিকৃতির কবলে পতিত। আমাদের সংস্কৃতিকে ধর্মদ্রোহী সংস্কৃতির আদলে রূপান্তরের প্রাথমিক প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। এ দেশের সামাজিক পরিম-লে ইসলামের যৎকিঞ্চিৎ উপস্থিতি ছিল তাকে আজ নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মূলোৎপাটন করা হচ্ছে। রাজনীতিতে ইসলাম বরাবরই স্বার্থ হাসিলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। জনগণের ধর্মীয় আবেগ পুঁজি করে ক্ষমতার মসনদ দখল করার ঘৃণ্য প্রক্রিয়া এখনও বহাল আছে। ইসলামের খোলস লাগিয়ে কিংবা ইসলামের ত্রাণকর্তা সেজে ভণ্ডামীর আশ্রয় নিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার নজিরও আমাদের চোখের সামনেই বিরাজমান।

স্বাধীনতার চার দশক পরও যে এসব দেখতে হবে তা আমরা আগে ভাবিনি। স্বাধীনতার স্বপ্ন এভাবে ধূলিস্মাত হবে জানলে চড়ামূল্যের এই স্বাধীনতা আমরা আনতাম কিনা তা বিবেচনা করা যেত। যাঁরা রক্ত দিয়ে, নিজের অমূল্য জীবন দিয়ে আমাদেরকে এ বিজয় এনে দিয়েছেন তাদের কাছে আমরা লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। ৪৪ বছর সময় কম নয়, স্বপ্নীল দেশ গড়ে তোলার জন্য এতটুকু সময়ই যথেষ্ট ছিল। আমাদের পরে বিজয় অর্জন করে অনেক দেশ চলে গেছে আমাদের চেয়ে বহুদূরে। এই সুদীর্ঘ সময়েও না পারা আমাদের চরম ব্যর্থতা। জাতি হিসেবে এটা আমাদের দীনতার প্রমাণ বহন করে।

Related posts

*

*

Top