জহির উদ্দিন বাবর
সম্ভবত ২০০৮ সালের কথা। মাদরাসা দারুর রাশাদের সাহিত্য সাংবাদিকতা বিভাগে তখন পড়তেন আজকের তরুণদের পরিচিতমুখ আতাউর রহমান খসরু, রোকন রাইয়ান, ইলিয়াস জাবেররা। দাওরায়ে হাদিসের খতমে বুখারিতে নিয়মতান্ত্রিক আয়োজন থাকলেও সাংবাদিকতা বিভাগে উত্তীর্ণদের বিদায়ী কোনো অনুষ্ঠান ছিল না। সেই বছর খসরু-রোকনরা আয়োজন করলেন বিদায় অনুষ্ঠানের। আমরা একটু মজা করে এর নাম দিলাম ‘খতমে সাংবাদিকতা’। আমি তখন দারুর রাশাদের শিক্ষক। তবে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বন্ধুত্বের, বড় ভাইয়ের। সেই অনুষ্ঠানে ঢাকার পরিচিত অনেক লেখককে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মধ্যমণি হয়ে আসেন মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ। হুমায়ুন আইয়ুব, মাসউদুল কাদির, গাজী সানাউল্লাহ, আলী হাসান তৈয়ব, শাহ আবদুল হালিম হোসাইনীসহ একঝাঁক তারুণ্যের মজমা বসল। সবার প্রিয় শরীফ ভাই আড্ডা জমিয়ে তুললেন। লেখকদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার ব্যাপারে তিনি জোরালো বক্তব্য দিলেন। এক পর্যায়ে নিজেই মাথা থেকে টুপি খুলে সেখানে কিছু টাকা রাখলেন। বললেন, যে যা পারেন দেন। আমরা সবাই দিলাম। সম্ভবত পাঁচ-ছয়শ টাকা হলো। শরীফ ভাই আমার হাতে টাকাগুলো দিয়ে হুমায়ুন, মাসউদুল কাদিরসহ আমাদের কয়েকজনকে দায়িত্ব দিলেন, মাঝে মাঝে বসতে এবং এ ব্যাপারে চিন্তা-ফিকির করতে। তখন পুরানা পল্টনে বাসমতি হোটেলের পেছনের দোতলার খুপড়িতে আমাদের প্রায়ই আড্ডা হতো। সেই টাকার সূত্র ধরে আমাদের আড্ডার মাত্রা আরও বেড়ে যায়। আমরা এই ইস্যুতেও বেশ কয়েক দিন বসলাম, এলোপাতাড়ি কথাবার্তা হলো। তবে কোনোটাই প্রাতিষ্ঠানিকতা পায়নি। ইতোমধ্যে মাওলানা মুহিউদ্দীন খানের তত্ত্বাবধানে ইসলামি পত্রিকা পরিষদ গঠিত হয়। এর কিছু কার্যক্রমও দৃশ্যমান ছিল। তবে আমরা এটাকে মালিকপক্ষের সংগঠন হিসেবেই জানতাম। এজন্য এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে বাড়তি কোনো আগ্রহ ছিল না।
সেই সময় দুটি পত্রিকার সম্পাদকের বক্তব্যে লেখকদের প্রতি কিছুটা অবজ্ঞা প্রকাশ পায়। একজন বললেন, কোনো লেখক যখন পত্রিকায় লিখে বিল চান তখন তার লজ্জা লাগে। আরেকজন বললেন, বিল দেওয়ার মতো লেখক তারা পান না, তাই বিল দেন না। এর প্রতিবাদ করে মাসিক রাহমানী পয়গামে একটি লেখা লিখলাম। তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের অংশগ্রহণ ছিল না বললেই চলে। তা সত্ত্বেও সেই লেখাটি বেশ আলোড়ন তুলেছিল। লেখকদের অধিকার নিয়ে তখনই তরুণদের মধ্যে একটা সোচ্চার ভাব লক্ষ্য করা যায়। বড়রাও লেখাটিকে সাধুবাদ জানালেন।
তখন তরুণদের অনেকেই মাত্র লেখালেখিতে এসেছেন। তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের কমতি নেই। ঢাকায় বেশ কয়েকটি সাহিত্য সভা নিয়মিত হতো। আমরা পল্টন-বায়তুল মোকাররমে প্রায়ই একত্রিত হতাম; ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা হতো। এর মধ্যেই ২০১০ ও ১১ সালে আমরা প্রথম ইজতেমা বিষয়ক দৈনিক ‘ইজতেমা প্রতিদিন’ প্রকাশ করি। সেটাকে কেন্দ্র করে আমাদের মধ্যে অধিকার সচেতনতা সৃষ্টি হয়। অন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের সংগঠন আছে, তারা নিজেদের অধিকার নিয়ে কথা বলতে পারে; কিন্তু ইসলামি ধারার লেখকদের এ ধরনের কোনো সংগঠন নেই। লেখকদের সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার কথা তীব্রভাবে উঠে আসে। ইজতেমা প্রতিদিন করার পর ‘এডিটোরিয়াল বোর্ড অব ইসলামিক ম্যাগাজিন্স’ সংক্ষেপে ইবিআইএম নামে একটি সংগঠন আমাদের কয়েকজনের মুখে মুখে চর্চিতও হতে থাকে। তবে নানা জটিলতার কথা ভেবে সেটাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার পর্যায়ে যেতে পারিনি।
২০১১ সালের শেষ এবং ২০১২ সালের শুরুর দিকে আমাদের মধ্যে বসাবসির ধারা বাড়তে থাকে। বিশেষ করে বিশ্বকল্যাণ পাবলিকেশন্সের আয়োজনে আল্লামা শামছুল হক ফরিদপুরী (ছদর সাহেব) রহ.-এর রচনাবলী প্রকাশ উপলক্ষে তোপখানা রোডের একটি হোটেলে বসার পর আমরা নিয়মিত বসব বলে সিদ্ধান্ত হয়। সেই সভায় মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা যাইনুল আবিদীন সাহেবসহ বড়দের অনেকেই ছিলেন। সেখানে ছদর সাহেবের বড় সাহেবজাদা মাওলানা মুহাম্মদ ওমর রহ. তাঁর বাবার স্বপ্নের কথাগুলো তুলে ধরে তারুণ্যকে আরও সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান। এরপর পাক্ষিক মুক্ত আওয়াজ, মাসিক আদর্শ নারী, মাসিক সংস্কারের আয়োজনে আমরা নবীন-প্রবীণরা আরও বেশ কয়েকবার পুরানা পল্টনে বসি। তবে এসব সভায় আমরা একটা বিষয় গভীরভাবে লক্ষ্য করি, নবীন-প্রবীণ সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে পথচলা একটু কঠিন। প্রবীণরা অনেক বেশি ব্যস্ত, তাছাড়া তাদের সবাইকে একসঙ্গে করে স্তর অনুযায়ী মর্যাদা দেওয়া এবং সবার মর্জিমতো চলা সম্ভব হয় না। তখন থেকেই মূলত আমাদের মধ্যে ভাবনা আসে, মুরব্বিদের নির্দেশনা মতো তরুণদেরই কাজের ময়দানে এগিয়ে যেতে হবে।
অনেক ঘনঘন বসাবসির পর অজানা কারণে হঠাৎ সেই বসায় ভাটা পড়ে যায়। এর মধ্যে একদিন সৈয়দ শামছুল হুদা ভাই পল্টনে এলে এ ব্যাপারে কথা হয়। তখন রোকন রাইয়ান মুক্ত আওয়াজে। চা খেতে খেতে আমরা একদিন বসব বলে সিদ্ধান্ত হয়। আয়োজনের জন্য তিনি পাঁচশ টাকা বেরও করে দেন। নির্বাচিত কাকে কাকে দাওয়াত দেওয়া যায় সে ব্যাপারে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আমি ১০/১৫ জনকে দাওয়াতও দিলাম। ওই সভায় তিনি লিখিত কিছু প্রস্তাবনা পেশ করলেন। তার প্রস্তাবনাগুলো ছিল মূলত সামাজিক, বুদ্ধিবৃত্তিক, শিক্ষাকেন্দ্রিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘিরে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং একসঙ্গে কিছু করার বিষয়ে। নিছক লেখকদের নিয়ে সংগঠন করার কোনো আলোচনা সেখানে হয়নি। তিনি পয়েন্ট ধরে ধরে ব্যাখ্যা করলেন, আমরা সবাই মুগ্ধ হয়ে শুনলাম। কিন্তু এসব ‘গুরুগম্ভীর’ বিষয় কাউকে তেমন স্পর্শ করলো না। ঐক্যবদ্ধ হওয়া দরকার সে ব্যাপারে সবাই জোর দিলেন, কিন্তু অর্থনৈতিক কোনো কিছুর ব্যাপারে কারও তেমন কোনো আগ্রহ লক্ষ্য করা গেল না। অনেকটা অমীমাংসিতভাবেই সেই মিটিং শেষ হলো। যতদূর মনে পড়ে, সেই বৈঠকে মুহাম্মদ ফয়জুল্লাহ, রায়হান মুহাম্মদ ইবরাহীম, গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, হাসনাইন হাফিজ, এমদাদুল হক তাসনিম, আবদুল গাফফারসহ বেশ কয়েকজন তরুণ ছিলেন।
এরপর আরও কিছু দিনের বিরতি। সম্ভবত ২০১২ সালের এপ্রিলে শরীফ মুহাম্মদ সাহেবসহ মুফতি এনায়েতুল্লাহ, গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ ও আমি খুলনায় গেলাম একটি লেখালেখির কর্মশালায়। দীর্ঘ সফরে আমাদের মধ্যে নানা বিষয়ে আলোচনা হলো। এক ফাঁকে শরীফ ভাই ছাড়া আমাদের বাকি তিনজনের মধ্যে লেখকদের নিয়ে কিছু একটা করার ব্যাপারেও জোরালো আলোচনা হয়। আমরা ফিরে এলাম ঢাকায়। এর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই সিদ্ধান্ত হলো টঙ্গীতে বসব। আমরা তিনজন, সঙ্গে সৈয়দ শামছুল হুদা ভাই। তারা তিনজন টঙ্গীতেই থাকেন; আমি গেলাম ঢাকা থেকে। তখন এনায়েত ভাই টঙ্গী বাজারের বস্তা পট্টিতে ব্যাচেলর বাসায় থাকেন। স্টিলের ছোট ছোট দুটি খাট পাশাপাশি। আমরা দুজন দুজন করে সেই খাটে বসে লেখকদের নিয়ে সংগঠন করার সিরিয়াস আলোচনা শুরু করলাম।
বিকাল থেকে রাত- কয়েক ঘণ্টা আমাদের মধ্যে আলোচনা-আড্ডা হলো। কী নাম হবে এ ব্যাপারে প্রাথমিক বাছাইয়ে ‘ইসলামি লেখক ফোরাম’ ও ‘ইসলামি লেখক পরিষদ’ ঠিক হলো। সেখানে বসেই আমরা শরীফ মুহাম্মদ সাহেবকে ফোন দিই, কোন নামটা ভালো সে ব্যাপারে মত জানতে। তিনি বললেন, ফোরামটা সহজ, পরিষদটা বলতে একটু কঠিন। সুতরাং আমরা সিদ্ধান্ত নিই ‘ইসলামি লেখক ফোরাম’ নামেই হবে সংগঠন। সেই বৈঠকে প্রথম সভায় কাকে কাকে দাওয়াত করা হবে সেই তালিকাও করা হয়। আজও মনে পড়ে, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ই আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়, ‘ভাঙাই যেহেতু আমাদের ঐতিহ্য’ সুতরাং এই সংগঠনও একদিন ভাঙবে, এটার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়েই ফোরাম গঠনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিলাম। এরপর টঙ্গীর আউচপাড়ায় মুফতি রুহুল আমিন সাহেবের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি মাদরাসায়ও ফোরামের কাঠামো নিয়ে কয়েকটি বৈঠক হয়।
অবশেষে এলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ২৬ মে ২০১২ শনিবার। আমরা প্রায় ২০ জনের মতো তরুণ লেখক সমবেত হলাম ১/এ পুরানা পল্টনের দোতলায়। এটি মূলত বিশ^কল্যাণের স্বত্বাধিকারী সাইফুল ভাইয়ের অফিস। সেখানে একটি রুমে আমিও ছিলাম কয়েক বছর। সেই রুমটিতেই মূলত বৈঠক। উপস্থিত সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ইসলামি ধারার তরুণ লেখকদের নিয়ে একটি সংগঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। ইসলামি লেখক ফোরাম নামটি সবাই পছন্দ করেন। তবে এটাকে জাতীয় রূপ দিতে সবার মতামতের ভিত্তিতে ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি যুক্ত করা হয়। গঠন করা হয় সাত সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি। আহ্বায়ক করা হয় ময়মনসিংহের লাবীব আবদুল্লাহ ভাইকে। সদস্য সচিব করা হয় আমাকে। আর সদস্য করা হয় সৈয়দ শামছুল হুদা, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ, মাসউদুল কাদির ও হুমায়ুন আইয়ুবকে। আহ্বায়ক কমিটি ৫ জুন ২০১২ তারিখে প্রথম বৈঠকে বসে। সেই বৈঠকে তিন সদস্যের একটি ‘গঠনতন্ত্র প্রণয়ন উপকমিটি’ করা হয়। কমিটির সদস্য করা হয় সৈয়দ শামছুল হুদা, মুফতি এনায়েতুল্লাহ ও আমাকে। তখন আমরা গঠনতন্ত্রের খসড়া করার দায়িত্ব দিই হুদা ভাইকে। তবে আমি বেফাকসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের গঠনতন্ত্র সংগ্রহ করে তাকে সরবরাহ করি। পরে সেই গঠনতন্ত্র নিয়ে আমরা উপর্যুপরি বৈঠক করি। পুরো আহ্বায়ক কমিটি একসঙ্গে গোল হয়ে বসে হাতে হাতে কপি নিয়ে প্রতিটি শব্দে শব্দে পর্যালোচনা করা হয়। অনেক বিষয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে তুমুল তর্ক-বিতর্কও হয়।
গঠনতন্ত্র কীভাবে রচিত হয়েছে সেটা গঠনতন্ত্রেই আছে। গঠনতন্ত্রের ‘পরিশিষ্ট : ২’ এ উল্লেখ আছে- ‘উক্ত উপকমিটি এক মাসের মধ্যে একটি খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি করে এবং তা পর্যালোচনার জন্য ৯ জুলাই ২০১২ তারিখের সভায় খসড়া পেশ করে। গঠনতন্ত্রের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা এবং নির্ভুল করার জন্য আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ মিটিংয়ে রিভিউ করার সিদ্ধান্ত হয়। উক্ত সিদ্ধান্ত মোতাবেক ১৩ জুলাই ২০১২ তারিখের সভায় তা চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয় এবং পূর্ণাঙ্গ রূপদান করা হয়। রিভিউ কমিটি নিম্নরূপ: ১. সৈয়দ শামছুল হুদা; ২. মুফতি এনায়েতুল্লাহ; ৩. জহির উদ্দিন বাবর; ৪. গাজী মুহাম্মদ সানাউল্লাহ; ৫. মাসউদুল কাদির; ৬. হুমায়ুন আইয়ুব।’
আহ্বায়ক কমিটি তার নির্ধারিত সময়ে সবকিছু গুছিয়ে নভেম্বরে কাউন্সিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে লক্ষ্যে আমরা প্রস্তুতিও নিই। কিন্তু ২০১২ সালের শেষ দিকে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা অনেক অস্থির হয়ে যায়; আমরা কাউন্সিল পেছাতে বাধ্য হই। অবশেষে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় কাক্সিক্ষত কাউন্সিল। আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করে বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম। ইতোমধ্যে চারটি কাউন্সিল হয়েছে। এবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে পঞ্চম কাউন্সিল। এছাড়া সাধারণ সদস্যদের নিয়ে প্রতি বছর সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। যদিও কিছু সমস্যার কারণে ২০১৬ সালে এবং করোনার কারণে ২০২০ সালের সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সুযোগ হয়নি।
এই হলো মোটামুটি বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম গঠনের প্রেক্ষাপট ও গোড়ার কথা। প্রায় এক দশক আগের কথা, সবকিছু হুবহু হয়ত স্মরণ নেই, তবে মোটাদাগে ইতিহাসটা যা বলেছি সেটাই। সেই ইতিহাসের সাক্ষীরা সবাই জীবিত। কেউ চাইলে যেকোনো বিষয় তাদের কাছ থেকে জেনে নিতে পারেন। লেখক ফোরাম একক কারও চিন্তার ফসল নয়, একক কারও কৃতিত্ব নয়; একদিনের কোনো ভাবনার ফসল নয়। দীর্ঘদিনের ভাবনাগুলো একটি বিন্দুতে এসে বাস্তবতার রূপ পেয়েছে বহুজনের প্রচেষ্টায়। এখানে কারও অবদানকে যেমন খাটো করে দেখার নয়, তেমনি একক কাউকে বড় করে উপস্থাপনের বিষয়ও নেই। যারা যেভাবে ভূমিকা রেখেছেন সবার ভূমিকাই চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ইনশাআল্লাহ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়া এই ফোরাম বহুদূর এগিয়ে যাবে সেটাই আমার বিশ্বাস।
লেখক: সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম