অফিসে কাজ করতে গিয়ে আপনার কি বেশি বেশি ঘুম পায়? কর্মস্থলে এ ধরনের ক্লান্তি, অবসাদ বা তন্দ্রাচ্ছন্নতা এক বড় সমস্যা। শ্রান্তি মানুষের কর্মক্ষমতা কমিয়ে দেয়। কিন্তু জীবনধারায় সামান্য পরিবর্তন এনেই এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। কাজে আসবে গতি। আরও সক্রিয়তা: সহকর্মীদের সঙ্গে চ্যাটিং বা ই-মেইলে যোগাযোগের পরিবর্তে কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। লিফটের ব্যবহার যথাসম্ভব বাদ দিন। গাড়ি একটু দূরে রেখে হেঁটে কর্মস্থলে যেতে হবে।
খাওয়ার ধরন পরিবর্তন
তিন বেলাই পেটপুরে না খেয়ে একই পরিমাণ খাবার ছয় বা আটবারে খান। প্রতি দুই ঘণ্টায় একবার খাওয়া যেতে পারে। হজম হচ্ছে ক্যালরি ধ্বংসের একটি প্রক্রিয়া। লম্বা বিরতিতে খেলে এই প্রক্রিয়া ভালোভাবে কাজ করে না।
নাশতা অবশ্যই
অনেকে নাশতা না করে মধ্য-সকালে চা পান বা সরাসরি মধ্যাহ্নভোজে চলে যান। কিন্তু এ ধরনের অভ্যাসেই বরং ওজন বাড়ে। কেননা ঘুমন্ত অবস্থায় দেহে খাবারের চাহিদা তৈরি হয়। তাই শারীরিক প্রক্রিয়াগুলো ঠিকঠাক রাখার জন্য ঘুম থেকে জাগার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই খেতে হয়।
ঠিক সময়ে ঘুম
ঘুমের অভাবে ওজন বাড়ে এবং খুব সহজেই শরীর দুর্বল হয়ে যায়। সময়মতো না ঘুমালে খাবারের চাহিদা না থাকলেও ক্ষুধার অনুভূতি হয়।
সপ্তাহান্তে শরীরচর্চা
সপ্তাহে অন্তত এক দিন স্কোয়াশ, টেনিস বা ফুটবল খেলার চেষ্টা করুন। এতে বাড়তি প্রেরণা পাবেন।
কাজে ভারসাম্য
সব সময় নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, তুমি কি খুব চাপ নিচ্ছ? কিছু কাজ কি তুমি অন্যকে দিতে পার না? কর্মস্থলে সব সময় চাপের মধ্যে থাকলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে। শরীর ও মন ঠিক রাখতে কাজে ভারসাম্য আনা চাই। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।