প্লিজ, আল্লাহর মেহমানদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না

haj11প্রতিটি মুমিনের হৃদয়কোণে সঞ্চিত তপ্ত তামান্না হলো জীবনে একবার হলেও আল্লাহর ঘরে গিয়ে হাজির হওয়া। আল্লাহর ঘরের মেহমানদের মিছিলে নিজেকে যুক্ত করা। যাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন, মাওলায়ে হাকীকির কৃপার প্রস্রবন যাদেরকে সিক্ত করে তারাই কেবল হাজির হতে পারেন পবিত্র সেই ভূমিতে। নিজেকে সর্বোতভাবে সপে দিতে পারেন মাওলাপ্রেমের প্রশান্ত সরোবরে। প্রেমিক ও প্রেমাস্পদের এই মিলনমেলায় শরিক হতে পারার আনন্দ এবং এ থেকে বঞ্চিত হওয়ার খেদ মোটামুটি প্রতিটি মুমিনকে ছুঁয়ে যায়।

অঢেল সম্পদ ও বিপুল শক্তি থাকলেই শুধু আল্লাহর ঘরের মেহমান হওয়া যায় না। প্রেমাস্পদের একান্ত নির্বাচিতরাই কেবল গোপন অভিসারে মিলিত হওয়ার সুযোগ পান। বায়তুল্লাহর নির্মাতা হজরত ইবরাহীম আ.-এর মুক্ত আহ্বান যাদের কর্ণকুহর স্পর্শ করেছে তারাই ছুটে আসতে পারেন আল্লাহর ঘরের মেহমান হতে। ‘প্রভু হে বান্দা হাজির! সমস্ত প্রশংসা ও নেয়ামত তোমার, রাজত্ব ও ক্ষমতা তোমারই, তোমার কোনো শরিক নেই-এই স্বীকারোক্তির মাধ্যমে নিজেকে সোপর্দ করতে পারে আল্লাহর কুদরতের সামনে। সৌভাগ্যের রাজটিকা তাদের কপালে যারা মাওলা পাকের আতিথ্য গ্রহণ করে মেহমান হওয়ার সুযোগ লাভ করেছে।

আল্লাহর দেয়া আতিথ্যে সাড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে আমাদের দেশ থেকেও প্রতি বছর লক্ষাধিক হাজি ছুটে যান দূর আরবে। সারা জীবনের লালিত বাসনা পূরণ করার সুযোগ পান তারা। পুণ্যময় মক্কা ও মদিনার স্বপ্নিল ও কল্পিত রূপ স্বচক্ষে দেখে বিমুগ্ধ হন। দারিদ্রপিষ্ঠ সমস্যাসঙ্কুল একটি দেশের নিরীহ নাগরিক আমরা। তিন লক্ষাধিক টাকা খরচ করে পবিত্র হজব্রত পালন করার সামর্থ্য ও মানসিকতাসম্পন্ন লোকের সংখ্যা এদেশে খুব একটা নেই। এর মধ্যেও যারা খোদাপ্রেমের আহ্বানে সাড়া দিয়ে হজ পালন করতে যান তারা অবশ্যই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আল্লাহ মানুষের ধন-সম্পদ, পোশাক-আশাক ও আমল দেখেন না, তিনি দেখেন নিয়ত ও মন। সাধ ও সাধ্যের টানাপোড়েনের মধ্যে আল্লাহর নির্দেশের কাছে যারা নিজেদেরকে সম্পূর্ণরূপে পেশ করতে পারে তারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা, নির্বাচিত ওলি। আল্লাহ তাআলা হাদীসে কুদসিতে বলেন, ‘আমার ওলিদেরকে যারা কষ্ট দেয়, আমি তাদের সঙ্গে যুদ্ধের ঘোষণা দিলাম।’ সুতরাং আল্লাহর ঘরের মেহমানবেশী আল্লাহর ওলিদের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন সবার ঈমানি দায়িত্ব। তাদের সঙ্গে এমন কোনো আচরণ করা যাবে না যাতে তারা বিরক্ত হন, কষ্ট পান।

আফসোসের বিষয় হলো, আমাদের বাংলাদেশি হাজি সাহেবখ্যাত আল্লাহর প্রিয় বান্দাদের সঙ্গে রীতিমতো অন্যায় আচরণ করা হয়। হজের নিয়ত করার পর থেকে এ সংক্রান্ত প্রতিটি পদক্ষেপে তারা নানা ভোগান্তি ও দুর্ভোগের শিকার হয়ে থাকেন। আমাদের দেশ থেকে দু’ভাবে হজে যাওয়া যায়-ব্যালটি ও নন ব্যালটি, অর্থাৎ সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে। তবে সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন চার হাজার হাজি যান, আর বাকি সবাই বেসরকারি ব্যবস্থাপনাতেই যান। উভয় ক্ষেত্রেই হাজি সাহেবদের হয়রানির কোনো শেষ থাকে না। সরকারি উদ্যোগে হজে যেতে হলে এক ধরনের ভোগান্তি, আবার বেসরকারি উদ্যোগে ভিন্ন ধরনের জটিলতা। প্রতি বছর সরকার মোট হজযাত্রীর কোটা নির্ধারণ করে ব্যালটি ও নন ব্যালটি হজযাত্রী বাছাই করেন। উভয় পদ্ধতিতেই হজযাত্রীকে কিছু আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে হয়।

আগের পাসপোর্ট না থাকলে নতুন করে পাসপোর্ট করে নিতে হয়। আমাদের দেশে পাসপোর্ট করতে কত যে ভোগান্তি ও দালালচক্রের শিকার হতে হয় তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। সম্প্রতি মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট পদ্ধতি চালু হয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও ভোগান্তির কোনো শেষ নেই। পাসপোর্ট প্রদান এবং হজের জন্য পুলিশ ক্লিয়ারেন্স লাগে। কিন্তু মক্ষীচোষ থানা পুলিশের কাছে যাওয়া মানেই ‘ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি’ এর মতো অবস্থা। হেলথ কার্ড সংগ্রহের জন্য সিভিল সার্জনের অফিসের দ্বারস্থ হতে হয়। কিন্তু সেখানেও একটি দালালচক্র হাজি সাহেবদের কাছ থেকে সম্পূর্ণ অন্যায্য ও অবৈধভাবে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেয়। তাছাড়া হাজিদের ভিসাপ্রাপ্তিতেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।backin-Opu-(6)

হজ ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত যাবতীয় দায়িত্ব সরকারের। ধর্ম ও বেসামরিক বিমান মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কার্যক্রম আঞ্জাম দেয়ার কথা। কিন্তু প্রতি বছরই হজসংক্রান্ত কোনো না কোনো জটিলতার শিকার হতে হয় আল্লাহর ঘরের মেহমানদের। দুর্নীতিতে আকুণ্ঠ নিমজ্জিত প্রশাসন ও মন্ত্রণালয় হজসংক্রান্ত বিষয়েও নানা দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে থাকে। বড় ধরনের দুর্নীতিতে ধরা পড়ে মন্ত্রিত্ব হারানোর নজিরও অতীতে এদেশে ঘটেছে। হজ ফ্লাইট, বাড়ি ভাড়া, বিমান ভাড়া চুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে প্রশাসনিকভাবে কারচুপি ও দুর্নীতির ঘটনা প্রতি বছরই কম বেশি ঘটে থাকে। ইসলামপ্রধান একটি দেশে হজের মতো পবিত্র একটি বিষয়ে এত অসাধু কর্মকাণ্ড বিশ্বের আর কোনো দেশে ঘটে বলে জানা নেই। জাতি হিসেবে এটা আমাদের জন্য লজ্জার ও অনুশোচনার। বিবেকের দায়বোধে দগ্ধ এবং নৈতিকতায় পুষ্ট কোনো মানুষের পক্ষে হজকেন্দ্রিক এ অনাচারের সঙ্গে যুক্ত থাকা কখনো সম্ভব নয়।

এ তো গেল সরকারি উদ্যোগে হজযাত্রীদের দুর্ভোগের কথা। বেসরকারি উদ্যোগে হজযাত্রীদের নিয়ে এর চেয়েও বেশি বাণিজ্য ও দুর্নীতি হয়ে থাকে। সরকারের একটি দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা আছে। এজন্য দুর্নীতিমুক্ত করার একটা প্রয়াস তাদের থেকে পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু বেসরকারি উদ্যোগে হজযাত্রার সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট তাদের কারো কাছে কোনো দায়বদ্ধতা বা জবাবদিহিতা নেই। তারা তাদের ইচ্ছে মতো হজবাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বিচিত্র এই বাংলাদেশে। হজ কাফেলা, হজ এজেন্সি, হজ ট্রাভেলস ইত্যাদির ছড়াছড়ি আজ সারা দেশে। এগুলোকে এ সময়ের সবচেয়ে লাভজনক ও আকর্ষণীয় ব্যবসা বলেও কেউ কেউ মন্তব্য করেন। বিনা পুঁজিতে বিশাল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার মতো আলাদিনের চেরাগ এখানে পাওয়া যায়। অল্পদিনেই বাড়ি গাড়ি সব জুটে। মাদরাসাপড়ুয়া আলেমদের একটা অংশ ইদানীং এ ব্যবসার সঙ্গে বিশেষভাবে জড়িয়ে আছেন। মসজিদে ইমামতির পাশাপাশি এটাকে বাড়তি উপার্জনের সহজ পথ হিসেবেও কেউ বেছে নিয়েছেন। হাজি সাহেবদের টাকায় নিজেরা প্রতি বছর হজে গিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলেন।

বেসরকারি উদ্যোগে হজ ব্যবস্থাপনা মন্দ কিছু নয়। সব হজযাত্রীর ব্যবস্থাপনা সরকারি উদ্যোগে সম্ভব নয়। এজন্য হাজি সাহেবদের খেদমতের উদ্দেশ্যে কেউ যদি বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করে তবে তা প্রশংসাযোগ্য। এর জন্য আল্লাহর দরবারে তিনি উপযুক্ত বদলা পাবেন। এমনকি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে হলেও সওয়াব পাবেন। তবে ব্যবসাটা হতে হবে সৎ ও ন্যায্যভাবে। অন্যায্য ও অনৈতিকভাবে হজব্যবসা শুরু করে দিলে এর পরিণতি অবশ্যই ভয়াবহ হবে। কারণ আল্লাহর ঘরের মেহমানদের সঙ্গে অযাচিত আচরণ কোনো চাট্টিখানি বিষয় নয়। কেউ যখন আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে আল্লাহর ঘরের দিকে যাত্রা করে তখন তার জিম্মাদার স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। আর আল্লাহ যার জিম্মাদার বা ওলি তার সঙ্গে অন্যায় আচরণের মাশুল কত চড়া হতে পারে তা মোটামুটি সবার জানা থাকার কথা।

আমাদের দেশের হজ কাফেলা ও হজ এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ বাজারে প্রচলিত আছে। ভুক্তভোগী হিসেবে নিজেও কিছুটা প্রমাণ পেয়েছি। বেসরকারি উদ্যোগে যারা হজ করিয়ে থাকেন তাদের দেয়া ওয়াদা এবং কথাবার্তার আগাগোড়া তেমন মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। নানা আকর্ষণীয় প্যাকেজের মাধ্যমে প্রথমে হজ গমনেচ্ছুকদেরকে নিজেদের প্রতি আকৃষ্ট করে। সারা জীবনের কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে যারা হজে যাবার নিয়ত করেন তাদের সবার একটা হিসাব থাকে কিভাবে কিছুটা কম খরচে সুযোগ-সুবিধাসহ হজব্রত পালন করা যায়। মধ্যবিত্ত এ শ্রেণীটিই হজ এজেন্সিগুলোর প্রধানত টার্গেট। নির্দিষ্ট প্যাকেজের আওতায় হজের টাকা জমা দেয়ার পর থেকে পদে পদে হাজি সাহেবরা প্রবঞ্চনার শিকার হন। অতি মুনাফালোভী একদল হজ ব্যবসায়ী কৌশলে হাজি সাহেবদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ও অন্যায্য অর্থ হাতিয়ে নেয়।

একজন মুমিন যখন হজের খাতায় নাম লেখান তখন তার একমাত্র আকুলতা ও প্রয়াস থাকে কিভাবে বায়তুল্লাহ ও রওজায়ে পাকে গিয়ে হাজির হওয়া যায়। অদশ্য প্রেমের স্পৃহায় দগ্ধ প্রেমিক তখন শুধুই প্রেমাস্পদের মিলন ভাবনায় বিভোর হয়ে থাকেন। তাদের এ দুর্বলতার সুযোগে হজ ব্যবসায়ীরা এসব অন্যায় আচরণ করে থাকে। সব এজেন্সির বিরুদ্ধে এক ধরনের অভিযোগ করা ঠিক হবে না। অনেক এজেন্সি আছে যারা অত্যন্ত বিশ্বস্ততার সঙ্গে প্রতি বছর হজযাত্রীদের উত্তম সেবা প্রদান করে থাকে। এখানে শুধু সেসব এজেন্সির কথাই বলা হচ্ছে যারা অসাধু ও অবৈধ পন্থা অবলম্বন করে থাকে।

হজ এজেন্সগুলোর বিরুদ্ধে সাধারণত যেসব অভিযোগ উত্থাপন করা হয় এর অন্যতম হলো, তারা যে প্যাকেজ ঘোষণা করে তাতে অনেক ফাঁক-ফোকর থাকে। হাজি সাহেবদের যেসব সেবা দেয়ার কথা বলা হয় তা যথাযথভাবে প্রদান করে না। এক্ষেত্রে খাওয়া থাকার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। অত্যন্ত নিম্নমানের খানা হাজি সাহেবদের জন্য পরিবেশন করা হয়, যা খেয়ে তাদের বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যা হয়ে থাকে। হারাম শরিফের যত কাছে ও সুবিধাজনক বাড়িতে বা হোটেলে তাদেরকে রাখার কথা বাস্তবে এর কোনো কিছুই মিল পাওয়া যায় না। কারো কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, কুরবানির জন্য হাজি সাহেবদের প্রদত্ত টাকা যথাযথ খাতে ব্যবহার করা হয় না। অতিরিক্ত সার্ভিস চার্জ গ্রহণের অভিযোগটি প্রায় সব এজেন্সির বিরুদ্ধেই রয়েছে।

imag3446সবচেয়ে বড় যে অভিযোগটি তা হলো, পাসপোর্ট-ভিসা সব হয়ে যাওয়ার পর যখন ইহরাম বাঁধার সময় আসে তখন বিভিন্ন অজুহাতে খরচের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া হয়। চূড়ান্ত ও দুর্বল মুহূর্তে আল্লাহর ঘরের মেহমানদের সঙ্গে করা হয় অন্যায্য এ আচরণটি। বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা জমা নিয়ে কাফেলা বা এজেন্সির মূল কর্তা ব্যক্তিটির পালিয়ে যাওয়া ও আত্মগোপনের মতো জঘন্য ঘটনাও এদেশে কম ঘটেনি। বিভিন্ন অপকর্মের জন্য বেশ কিছু এজেন্সিকে প্রতি বছর সৌদি সরকার নিষিদ্ধ করে। বিষয়টি জানা সত্ত্বেও এর কোনো সুরাহা না করে ওই এজেন্সিগুলো হাজি সংগ্রহ করতে থাকে। এভাবে শেষ মুহূর্তে টাকা-পয়সা জমা দিয়েও অনেকেই হজে যেতে পারেন না। এজন্যই বলা হয়, সব সম্ভবের দেশ এটি!

একটি মুসলিমপ্রধান দেশের হজযাত্রীদের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব সরকারের। সরকারের একার পক্ষে যেহেতু এত বড় দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়া সম্ভব নয় এজন্য বেসরকারি ব্যবস্থাপনারও দরকার আছে। দীর্ঘসূত্রিতা ও আমলাতান্ত্রিক বিভিন্ন জটিলতার কারণে ব্যালটি হজযাত্রীদের সংখ্যা সাধারণত কম থাকে। টাকা বেশি লাগলেও ঝামেলা কম থাকায় নন ব্যালটি হাজিদের সংখ্যা বেশি। তবে শুধু ব্যালটিদের দায়িত্ব সরকারের আর নন ব্যালটিদের দায়িত্ব প্রাইভেট এজেন্সিগুলোর-সরকারকে একথা ভাবলে চলবে না। সমস্ত হাজির নির্বিঘ্ন ও আরামদায়ক হজযাত্রা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগের অনিয়মগুলো দূর করা যেমন সরকারের দায়িত্ব তেমনি বেসরকারি উদ্যোক্তাদের অন্যায্য ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ও খবরদারি করাও তাদেরই দায়িত্বের আওতায় পড়ে।

আল্লাহর ঘরের মেহমানদের নিয়ে যারা অন্যায্য ব্যবসায় লিপ্ত হন তাদেরকে একবার ভেবে দেখা উচিত, তারা কাদের সঙ্গে অন্যায়মূলক এ আচরণ করছে। বিবেকের দায়বোধ ও দংশন থাকলে এ ধরনের জঘন্য কাজ কারো দ্বারা করা সম্ভব নয়। সুতরাং প্রতিটি মুমিন-বিশ্বাসী এর অশুভ পরিণতির কথা চিন্তা করে এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে-এটাই প্রত্যাশা। হজসংশ্লিষ্ট সবার প্রতি অনুরোধ, প্লিজ, আল্লাহর ঘরের মেহমানদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না।

Related posts

*

*

Top