মনীষা/স্মৃতি articles

আমাদের প্রিয় মুফাসসির সাহেব হুজুর রহ.

আমাদের প্রিয় মুফাসসির সাহেব হুজুর রহ.

জহির উদ্দিন বাবরসাধারণ মানুষের মধ্যে ধারাবাহিকভাবে পুরো কুরআনে কারিমের তাফসির সম্পন্ন করার রেকর্ড এই অঞ্চলে আছে বলে জানা নেই। বিরল সেই রেকর্ডটি যিনি গড়েছিলেন তিনি হলেন আমাদের প্রিয় মুফাসসির সাহেব হুজুর খ্যাত আল্লামা শামছুল ইসলাম রহ.। ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদে প্রতি শনিবার বাদ মাগরিব চিরচেনা গলায় তাঁকে তাফসির করতে দেখেছি বহু বছর। আমরা যখন জামিয়া ইমদাদিয়ায়

বিদায় ইসলামি রাজনীতির শুদ্ধপুরুষ

জহির উদ্দিন বাবরএকজন বড় নেতা হিসেবে যে দাপট ও ভাব থাকার কথা সেটা তাঁর ছিল না। রাজনীতির তর্জন-গর্জন করতে তাঁকে কখনও দেখা যায়নি। একটি দলের শীর্ষ নেতা হওয়া সত্ত্বেও চলতেন খুবই সাদাসিধে। অপরিচিত কারও পক্ষে দেখে বোঝার উপায় ছিল না তিনি এতো বড় নেতা! সবার সঙ্গে এমনভাবে মিশতেন মনে হতো তিনি তাদের চেয়ে ভিন্ন কেউ

ভক্তি, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার অনন্য মিনার

জহির উদ্দিন বাবরতিনি ছিলেন দেশের আলেমসমাজের অন্যতম অভিভাবক। গত কয়েক দশক ধরে শীর্ষ আলেমদের যেকোনো মজলিস ও আয়োজনে তাঁর অংশগ্রহণ ছিল অনিবার্য। বর্ণাঢ্য জীবন, ইলমি অবস্থান এবং ব্যক্তিত্বে সবার মধ্যে ঝলমল করতেন তিনি। প্রথম সারির বেশ কয়েকজন আলেম চলে যাওয়ার পর তাদের শূন্যতা অনেকটা পূরণ করেছিলেন অভিভাবকতুল্য এই আলেম। কিন্তু তিনিও চলে গেলেন না ফেরার

মুকুটহীন বাদশার ঈর্ষণীয় বিদায়

জহির উদ্দিন বাবর জীবনের নিয়তিই চলে যাওয়া। পৃথিবীর শুরু থেকে এই চলে যাওয়ার মিছিল অব্যাহত আছে। তবে কিছু কিছু চলে যাওয়া দাগ কেটে যায় সবার অন্তরে। সৃষ্টি করে গভীর এক শূন্যতা যা কোনোভাবেই পূরণ হওয়ার নয়। গত ২৯ জানুয়ারি ২০২০ এমনই একজনের চলে যাওয়া আমরা দেখলাম যে চলে যাওয়া ক্ষত সৃষ্টি করেছে কোটি হৃদয়ে। অশ্রু

একজন সজ্জন ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিকের বিদায়

জহির উদ্দিন বাবর একজন রাজনীতিবিদ তার দলের নেতাকর্মীদের কাছে প্রিয় হবেন এটা খুবই স্বাভাবিক। তবে কোনো কোনো দলে এমন নেতাও আছেন যারা শুধু দলীয় গণ্ডিতেই নয়, সব দল ও মতের লোকের কাছে প্রিয়। এমনই একজন নেতা ছিলেন অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন। তিনি ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিলেন। কিন্তু সব দল, মত ও

একজন সজ্জন মানুষের আকস্মিক চলে যাওয়া

জহির উদ্দিন বাবর প্রতিটি চলে যাওয়াই কষ্টের। তবে কিছু কিছু চলে যাওয়া মেনে নিতে একটু বেশিই কষ্ট হয়। একজন যেকোনো বয়সে মারা যাক সেটাকে ইসলাম ‘অকাল’ মৃত্যু বলে না। তবুও কিছু কিছু মৃত্যুকে মেনে নেয়া অসম্ভব কঠিন ব্যাপার। ড. আব্দুল মুনিম খানের চলে যাওয়াটাও তেমনি। তাকে যারা চিনেন, জানেন কেউই এ চলে যাওয়াকে সহজে মেনে

আলেম লেখকের চলে যাওয়ার ক্ষতি পূরণযোগ্য নয়

জহির উদ্দিন বাবর চলে যাওয়া সবার নিয়তি হলেও কোনো কোনো চলে যাওয়া সহজে মেনে নেয়া যায় না। মুফতি মুতীউর রহমানের চলে যাওয়াটাও তেমনি। একজন আলেমের মৃত্যুকে ‘জগতের মৃত্যু’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। আর সেই আলেম যদি হন লেখক তাহলে সেই চলে যাওয়ার ক্ষতিটা আরও বেশি। যে ক্ষতি কখনও পূরণযোগ্য নয়। এজন্য চল্লিশ পেরোনো টগবগে এই

কুরআনের এক মহান খাদেম

জহির উদ্দিন বাবর মহাগ্রন্থ আল কুরআনের খেদমতে বিশেষ অবদান রেখে যারা ‘স্বর্ণমানব’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছেন তাদেরই একজন হজরত মাওলানা কারী বেলায়েত হুসাইন রহ.। পবিত্র কুরআনের খেদমতকে তিনি জীবনের মহান ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে কুরআনের বিশুদ্ধ তেলাওয়াত ও এর চর্চা জারি করার পেছনে বিশাল ভূমিকা তাঁর। সর্বমহলে স্বীকৃত নূরানী পদ্ধতির আবিষ্কারক তিনি। নিজ হাতে

আমাদের দুই আলোর মিনার

জহির উদ্দিন বাবর নিকট অতীতে বাংলাদেশে প্রভাবশালী আলেমদের তালিকায় তাঁরা দুজনই শীর্ষে ছিলেন। কৃতিত্বপূর্ণ অবস্থানের দিক থেকে দুজনই ছিলেন ঝলমলে একটি জায়গায়। দুজনই দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমাদৃত ছিলেন। দুজনেরই ছিল নিজ নিজ রাজনৈতিক গণ্ডি ও বলয়। তবে সবকিছু ছাপিয়ে তারা হয়ে উঠেছিলেন দেশের তৌহিদি জনতার অভিভাবক। ব্যক্তি থেকে প্রতিষ্ঠানের রূপ পেয়েছিলেন দুজনই। জাতির যেকোনো সংকটময় মুহূর্তে

চলে গেলেন কুরআনের কোকিল

জহির উদ্দিন বাবর কুরআনের সুরে তিনি পুরো জাতিকে মোহিত করতেন। খ্যাতি পেয়েছিলেন ‘কুরআনের কোকিল’ নামে। রেডিও-টিভিতে তাঁর আজানের সুমধুর ধ্বনি শুনেননি এমন মানুষ খুব কমই আছে। তাঁর মুখে কুরআনে কারিমের অমীয় তেলাওয়াত ছুঁয়ে যেতো প্রতিটি মানুষের অন্তর। দেশের হাজার হাজার কারী’র মধ্যে তিনি ছিলেন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। সবাই একডাকে তাঁকে চিনতেন। সবমহলে ছিল তাঁর স্বীকৃতি।

Top