মিডিয়া articles

‘ও সাংবাদিক তুই অপরাধী, তোর ক্ষমা নাই রে!’

‘ও সাংবাদিক তুই অপরাধী, তোর ক্ষমা নাই রে!’

জহির উদ্দিন বাবর সম্ভবত সমাজের সবচেয়ে চক্ষুশূল পেশাটির নাম সাংবাদিকতা। বেশির ভাগ শ্রেণি-পেশার মানুষের কাছেই সাংবাদিকরা সমাদৃত নয়। পুলিশের শত্রু সাংবাদিক। কারণ পুলিশের সব অপকর্ম তুলে ধরে সাংবাদিকরা। রাজনীতিবিদরা সাংবাদিকদের তোষামোদ করলেও মাঝে মাঝে সুযোগ পেলেই ক্ষোভ ঝারেন। কারণ তাদের বহুমুখী চরিত্র দৃষ্টিকটুভাবে ফুটিয়ে তোলেন সাংবাদিকরা। চিকিৎসকদের অনেক বড় ‘শত্রু’ সাংবাদিক। কারণ তাদের হঠকারী আচরণ

প্রথম ইজতেমা দৈনিকের গোড়ার কথা

জহির উদ্দিন বাবর ২০১০ সালের জানুয়ারির শুরু। আমি তখন মিরপুরের মাদরাসা দারুর রাশাদে। আমাদের অগ্রজ মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ তখন থাকেন মাদরাসার পাশেই সাংবাদিক আবাসিক এলাকায়। প্রায় প্রতিদিনই সাক্ষাৎ হতো। গল্প হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা। কখনও আমার রুমে বসে, কখনো চায়ের স্টলে আবার কখনও ফুটপাতে দাঁড়িয়ে। সেদিন সন্ধ্যার পর দারুর রাশাদের সামনে দাঁড়িয়ে গল্প করছিলাম। এক

মিডিয়া নিয়ে আমাদের আক্ষেপ ও কিছু বাস্তবতা

জহির উদ্দিন বাবর বর্তমান সময়ে মিডিয়ার প্রভাব কতটা বেশি সে সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি। আজকের যুগ পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে মিডিয়া। এজন্য এই সময়ে মিডিয়াকে অনেকে ‘দ্বিতীয় খোদা’ বলে অভিহিত করেন। আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে বরাবরই মিডিয়া ইসলামপন্থীদের সঙ্গে বৈরী আচরণ করে থাকে। তাদের গায়ে রঙ লাগানো, ভিন্নভাবে উপস্থাপন মিডিয়ার রুটিন কাজ। ইসলামপন্থীরা মিডিয়ার একটি

মিডিয়াযুদ্ধের সেকাল-একাল ও ইসলামের আদর্শ

আজকের বিশ্বে ‘মিডিয়াযুদ্ধ’ নামে যে কথাটি ব্যাপক প্রচলিত এটা কোনো নতুন যুদ্ধ নয়। এর সঙ্গে মানবসভ্যতার পরিচয় অনেক পুরনো। সমকালীন প্রচারমাধ্যমের দ্বারা প্রতিটি যুগই এ যুদ্ধের কীর্তিতে ভরপুর। গোত্রীয় যুগে এ যুদ্ধ শে’র-কবিতা আবৃত্তি, অলঙ্কার ও ভাষাশৈলীর জোরে চলত। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা থাকত শা’য়ের বা কবিদের। প্রত্যেক গোত্র নিজেদের শান-শওকত, শৌর্য-বীর্য প্রকাশের জন্য

কওমি স্বীকৃতি ও মিডিয়ার বিমাতাসুলভ আচরণ

জহির উদ্দিন বাবর গত এক সপ্তাহ ধরে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় কওমি মাদরাসার সরকারি স্বীকৃতির ঘোষণা। গণভবনে দেশের শীর্ষ আলেমদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ঘোষণা দেন। এরপর থেকে স্বীকৃতির প্রসঙ্গটি আলোচিত হচ্ছে সবখানে। যারা স্বীকৃতি পাচ্ছেন কিংবা এর সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে জড়িত তারা এতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন; কেউ ভবিষ্যৎ নিয়ে তাদের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

মুন্নি সাহাদের অপসাংবাদিকতা বনাম আমাদের প্রতিরোধব্যবস্থা

  জহির উদ্দিন বাবর ‘৫ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি কালেমা জানেন না’, ‘৬ জেলার প্রশাসক ওজুর ফরজ বলতে পারেন না’ ‘১০ মন্ত্রী জানেন না কোন ওয়াক্তে কত রাকাত নামাজ’ ‘৫ বুদ্ধিজীবী ৪০ বছর ধরে নাপাক’ ‘৫০ এমপি জানেন না জানাজার নিয়ম’ শিরোনামগুলো কাল্পনিক। তবে কোনোদিন মিডিয়ায় শিরোনামগুলো হাইলাইটস করে প্রকাশ হতেও পারে। অগ্রজ লেখক মাওলানা শরীফ মুহাম্মদের

অনলাইন পত্রিকার জবাবদিহিতা চাই, তবে…

অনেক দিন ধরেই অনলাইন পত্রিকাগুলোর একটি নীতিমালা তৈরির কথা শোনা যাচ্ছে। মোটাদাগে প্রায় সবাই এই নীতিমালার পক্ষে। নীতিমালায় কী থাকতে পারে এ বিষয়ে অনেক আলোচনা-পর্যালোচনাও ইতোমধ্যে হয়েছে। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয় অনলাইন পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছে; যদিও এই বৈঠক নিয়ে আছে নানা কথা। ভুঁইফোঁড় অনলাইনের সম্পাদকেরাই ওই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। শীর্ষ অনলাইনের বেশির ভাগ সম্পাদক

মিডিয়া দ্বিতীয় খোদা!

মিডিয়াকে বর্তমান বিশ্বের পরাশক্তি বললে একটুও বাড়িয়ে বলা হবে না। সারা বিশ্বে আজ মিডিয়ার ক্ষমতা একচ্ছত্র, অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্বায়নের এই যুগে মিডিয়া ছাড়া এক মুহূর্তের কথাও আমরা কল্পনা করতে পারি না। অনেক ক্ষমতাধর রাষ্ট্র ও ব্যক্তি পর্যন্ত মিডিয়ার কাছে ধরাশায়ী হয়ে পড়ে। মিডিয়ার প্রভাব এতটাই ব্যাপক ও বিস্তৃত যে, সহজাত ও চিরায়ত ধারাকে উল্টোপথে বাহিত করে

অনলাইন সাংবাদিকতার ভবিষ্যৎ

অনলাইন সাংবাদিকতা বলতে বোঝায় ইন্টারনেট পত্রিকা বা গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা। সারা বিশ্বে আজ ইন্টারনেটভিত্তিক গণমাধ্যমের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশেও ইন্টারনেট যত সহজলভ্য হচ্ছে ততই বাড়ছে অনলাইনের দাপট। বিশেষ করে মোবাইল ইন্টারনেটের কারণে এর পরিধি ব্যাপক বিস্তৃত হয়েছে। অনলাইন সাংবাদিকতার প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো তাৎক্ষণিকতা। যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই রেডিও-টিভির মতো এতে প্রকাশ করা

বৈরী গণমাধ্যম ও আমাদের অবস্থান

বিশ্বমিডিয়ার বর্তমান যে স্রোত উল্টোপথে প্রবহমান এর প্রধান টার্গেটই হলো সত্য, সুন্দর ও বাস্তবতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ। সারা বিশ্বের গণমাধ্যমের অবস্থা মোটামুটি এক। প্রকৃতি ও গতিধারায় স্বাতন্ত্র রক্ষায় বলিষ্ঠ গণমাধ্যমের সংখ্যা খুবই কম। বর্তমানে গণমাধ্যমের গতি অন্যায্য ও অবৈধ পথে। আধিপত্য বিস্তারের খেলায় গণমাধ্যম এতটাই উন্মাদ যে, নীতি-নৈতিকতার প্রসঙ্গটি এখানে গৌণ, স্থান বিশেষে তুচ্ছ ও পরিত্যাজ্য।

Top