রোজনামচার পাতা articles

ফেসবুক সেলিব্রেটিদের বলছি…

ফেসবুক সেলিব্রেটিদের বলছি…

জহির উদ্দিন বাবর অনেক দিন পর একজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ। ফেসবুকে মোটামুটি জনপ্রিয়। বললেন, আপনি এখন কোথায় লেখালেখি করছেন? বললাম, এইতো সুযোগ পেলে পত্রপত্রিকায় টুকটাক লেখি। বইপত্রের কিছু কাজ আছে, চলছে ঢিমেতালে। বললেন, পত্রিকায় লিখে লাভ কী? আর বই কি এখন কেউ পড়ে? আমি বললাম, তাহলে কোথায় লিখবো? তিনি বললেন, কেন ফেসবুকে লিখবেন, তাহলে সহজেই জনপ্রিয়

ডিজিটাল চোরাবালিতে হারিয়ে যাওয়া প্রজন্ম

একটা সময় ছিল পড়ার টেবিলে অথবা শিথানে শোভা পেত নানা ধরনের বই। আমরা যখন ঘুমুতে যেতাম হাতে থাকতো বই। পড়তে পড়তে হঠাৎ লেগে আসতো চোখ। এভাবে প্রতি মাসে পড়া হয়ে যেত একাধিক বই। পড়ার তালিকা কখনও বইশূন্য থাকতো না। আমি ব্যক্তিগতভাবে যত বই পড়েছি এর চেয়ে কিনেছি বেশি। কিন্তু গত দুই চার বছরে পড়া হয়েছে

আমাদের ভাবনার গণ্ডিটা একটু প্রসারিত হোক

সোহাগী জাহান তনু হত্যার বিচার নিয়ে দেশজুড়ে চলছে তোলপাড়। একজন ‘হিজাবী’ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে-এমন খবরে প্রথম দিকে তথাকথিত প্রগতিশীল গণমাধ্যমগুলোর কিছুটা পিছুটান ছিল। দায়সারা গোছের সংবাদ পরিবেশ করেই সবাই থেমে থাকে। তবে ইসলামপন্থী ফেসবুক ‘মুজাহিদরা’ এটাকে ইস্যু হিসেবে সামনে এনে প্রতিবাদের বন্যা বইয়ে দেন। তাদের দাবি ‘হিজাবী; একজন নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার

সংবিধানে একটি শব্দ থাকলে এমন কী ক্ষতি হয়ে যাবে!

কুরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন করবে না বলে ওয়াদা করে যারা ক্ষমতায় এসেছে, ‘মদিনার সনদে’ দেশ চালানোর ঘোষণা দিয়েছে যারা, তারা সংবিধানে ‘ইসলাম’ শব্দটি সহ্য করতে পারবে না এটা বিশ্বাস করার মতো না। আমার বিশ্বাস, ২০০১ সালের একটি ‘বিতর্কিত’ রায়কে কেন্দ্র করে যে দলটির ভরাডুবি ঘটেছিল সেই দল আবার পুরোনো ফাঁদে পা দেবে না। তবে অদৃশ্য চাপে

ইসলামি দলের কর্মীদের ‘নতুন জিহাদ’

ইসলামি রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী এমন অনেকেই ফেসবুকে আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আছেন। ফেসবুক ওপেন করলেই তাদের স্ট্যাটাসগুলো না চাইলেও চোখের সামনে চলে আসে। বিশেষ কোনো দলের প্রতি অনুরাগ বা বিরাগ আমার নেই। তবে সব দলের নেতাকর্মীর সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক আছে। যারা যে অবস্থানে থেকে কাজ করছেন আমি সবার কাজকে মূল্যায়ন করি। সবাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার

আমরা গ্লাসের অর্ধেকটা খালি দেখি, ভরাটা দেখি না

বাঙালি চরিত্র বলে একটা কথা আছে। এই চরিত্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে নেতিবাচক বিষয়গুলো আমাদের চোখে পড়ে বেশি। কারও মধ্যে ৮০টি গুণ আছে সেটা আমরা দেখি না; ২০টি দোষ নিয়ে তার পিছু লেগে থাকি। অর্ধেক গ্লাসে পানি আছে, আমরা বলি অর্ধেক গ্লাসই খালি। অথচ অর্ধেকটা যে ভরা সেটা আমাদের দৃষ্টিতে ধরা পড়ে না। আমরা গড়ার চেয়ে ভাঙায়

Top