ইসলাম articles

তোমাকেই নিতে হবে আগামীর পৃথিবীর ভার

তোমাকেই নিতে হবে আগামীর পৃথিবীর ভার

জহির উদ্দিন বাবরমহামারি করোনাভাইরাসের থাবায় বিশ^ এখনও প্রায় থমকে আছে। জীবনে যা কেউ কল্পনাও করেনি এমনটা ঘটেছে গত কয়েক মাসে। প্রায় ছয় মাস ধরে চলা বৈশি^ক এই মহামারি আমাদের জীবনধারা তছনছ করে দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক না হলেও আস্তে আস্তে প্রায় সবকিছু সচল হতে শুরু করেছে। যদিও এখনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলেনি। শিগগির খুলবে বলে

প্রিয় তাবলিগি ভাইয়েরা এবার একটু ক্ষান্ত দিন!

জহির উদ্দিন বাবর সমস্যার ডালপালা ছড়াচ্ছে অনেক দিন ধরেই। বিভাজন ও বিভক্তির বিষয়টাও এখন ‘ওপেন সিক্রেট’। কোটি হৃদয়ের স্পন্দন প্রিয় তাবলিগ জামাত আর আগের মতো নেই সেটা এখন সবারই জানা। কিন্তু এখানেও খুনোখুনি, ক্ষমতার মহড়া আর মারদাঙ্গা পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে সেটা ছিল অকল্পনীয়। এখানেও প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোর মতো পেশিশক্তির লড়াই দেখতে হবে সেটা ছিল অভাবনীয়।

যাঁর হৃদয়ের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বময়

জহির উদ্দিন বাবর ‘তাবলিগ জামাত’ নামটি উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে যে মহান মনীষীর কথা আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠে তিনি হলেন হযরতজী মাওলানা মুহাম্মদ ইলিয়াস রহ.। তাবলিগের কার্যক্রম সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার পেছনে তাঁর ইখলাস, লিল্লাহিয়াত, সাধনা ও চোখের পানিই সবচেয়ে বড় নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে। তাঁর অন্তরে দীনের যে জ্বলন ছিল তা ছড়িয়ে পড়ে ব্যক্তি

হজের সফর বনাম আখেরাতের সফর

মূল: ইমাম গাযালী রহ.; অনুবাদ: জহির উদ্দিন বাবর হে বন্ধু! খানায়ে কাবা মহান প্রভুর ঘর। এটা আসমান ও জমিনের বাদশার দরবার। আপনি সেই শাহী দরবারে যাচ্ছেন। মূলত তাঁর সঙ্গে সাক্ষাতে যাচ্ছেন। এই পার্থিব দুনিয়ায় আপনার চোখ দিদারে এলাহীর ক্ষমতা রাখে না। তবে বায়তুল্লাহ জিয়ারতের দ্বারা এর কিছুটা স্বাদ মিটে। এর দ্বারা মহান রাব্বুল আলামিনের ওয়াদা

বিশুদ্ধ ভাষা চর্চা ও ইসলাম

ভাষা আল্লাহর শ্রেষ্ঠ দান। ইসলাম প্রতিটি ভাষাকেই বিশেষ গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে বিবেচনা করে। বিশেষ বৈশিষ্ট্যপূর্ণ হওয়ার কারণে একমাত্র আরবী ছাড়া সব ভাষার স্তর প্রায় এক। তবে ইসলাম বিশেষভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে মাতৃভাষা শিক্ষার প্রতি। কালের পরিক্রমায় যত নবী-রাসূল দুনিয়াতে এসেছেন ঐশী বার্তা নিয়ে তাদের প্রত্যেকেই ছিলেন স্ব স্ব মাতৃভাষার পণ্ডিত। নবী-রাসূলদের মাতৃভাষায় দক্ষ করে পাঠানোর

যে আলোয় স্নাত ভুবন

প্রায় দেড় হাজার বছর আগের কথা। রবিউল আউয়ালের এক প্রভাতে আরব-মরুর মক্কা উপত্যকায় জন্মেছিলেন আল্লাহর রাসুল (সা.)। যার নুরে বিদীর্ণ হয়েছিল গোমরাহি ও জাহেলিয়াতের পর্দা। সে প্রভাতের বিভায় অবিচার ও অনাচারের লু হাওয়া পরিণত হয়েছিল তওহিদের শীতল হাওয়ায়। বছরের পর বছর ধরে যে আরবভূমি তথা বিশ্বমানবতা পিপাসায় হাহাকার করছিল, তার ওপর বয়ে যায় রহমতের বারিবর্ষণ।

প্রতিটি ভূখণ্ডই আজ কারবালা, প্রতিটি মুহূর্তই আশুরা

‘কারবালা’ একটি ঐতিহাসিক শব্দ। ইতিহাসের লোমহর্ষক ট্রাজেডি বুকে ধারণ করে আজও কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে কারবালা। ক্যালেন্ডারের পাতা ঘুরে প্রতি বছর এ অধ্যায়টি আমাদের দুয়ারে এসে হাজির হয়। আমাদের ঘুমন্ত হৃদয়ে সাড়া জাগায়। পেছনের দিকে ফিরে তাকানোর সুযোগ করে দেয়। নতুন চেতনায় উজ্জীবিত হওয়ার জন্য আন্দোলিত করে। ‘কারবালা’ যার মূলে রয়েছে এক ফোয়ারা রক্তের

‘লাব্বাইকের’ শিক্ষা হোক জীবনের পাথেয়

প্রতি বছর লাখও মুসলমান ইসলামের আহকাম পবিত্র হজব্রত পালনের উদ্দেশ্যে ছুটে যান দূর আরবে। হজের নানা আহকামে প্রেমিক ও প্রেমাস্পদের মধ্যকার অকৃত্রিম সম্পর্কের পরিচয় যেমন ফুটে উঠে তেমনি স্রষ্টার প্রতি সৃষ্টির নিঃশর্ত আনুগত্য প্রকাশ পায়। আল্লাহর ঘরের মেহমানরা যখন সেলাইবিহীন এক প্রস্ত শুভ্র কাপড়ে জড়িয়ে ইহরাম বাঁধেন তখন তা তাদেরকে নিত্যদিনের সাজসজ্জা ও চাকচিক্যের সংকীর্ণতা

যে কথা বলতে হবে মিম্বর থেকে

ইসলামে ইবাদতের কেন্দ্রবিন্দু মসজিদ। প্রধানত মসজিদকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে একটি ইসলামী আবহ ও সমাজকাঠামো। মুসলমানদের ধর্মীয় ও সামাজিক পরিমণ্ডলের সঙ্গে মসজিদের সম্পর্ক ওৎপ্রোত। অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়ের মতো মসজিদ শুধু মুসলমানদের ইবাদতখানাই নয় বরং এর সঙ্গে জড়িত আছে মুসলমানদের ব্যক্তিগত, সামাজিক, রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক জীবনের অধ্যায়সমূহ। একে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে মুসলমানদের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি ও

হিরোশিমা ট্রাজেডি বনাম ইসলামের ভাবনা

৬ আগস্ট মানব সভ্যতার ইতিহাসে একটি কলংকজনক দিন। ১৯৪৫ সালের এই দিনে জাপানের হিরোশিমা নগরীতে ঘটানো হয় এ যাবতকালের সবচেয়ে বর্বরতম ঘটনা। মানবসৃষ্ট দুর্যোগে এর চেয়ে ক্ষতি ও প্রাণহানির ঘটনা পৃথিবীতে আর ঘটেনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহ শিকার হয় জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকি নগরী। মাত্র তিনদিনের ব্যবধানে এ দুটি নগরীতে পারমানবিক বোমার আঘাতে ঝরে যায় দুই

Top