জহির উদ্দিন বাবর
রহমত মাগফেরাত আর মুক্তির বার্তা নিয়ে মাহে রমজান আমাদের দুয়ারে হাজির। সারাবিশ্বে প্রায় একই সময়ে পালিত হবে পবিত্র রমজান। তবে বাংলাদেশের রমজানের চিত্রটা অন্যান্য দেশের তুলনায় কিছুটা ভিন্ন। পবিত্র মাস রমজানকে ঘিরে বাংলাদেশে যে আমেজ ও আবহের সৃষ্টি হয় তা পৃথিবীর আর কোনো দেশে সম্ভবত হয় না। রাসুল (সা.)ও এভাবে রমজানকে স্বাগত জানাতেন। রজব মাসের চাঁদ উদয় হলেই দোয়া করতে থাকতেন রমজান যেন নসিব হয়। শবে বরাত অতিক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই সাহাবায়ে কেরামকে রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করার নির্দেশ করতেন। যাবতীয় হক আদায় করে রমজান উদযাপনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। এভাবে রমজানপূর্ব প্রস্তুতির যে আমেজ বিরাজ করত মদিনার অলিতে গলিতে যে আবহ বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জেও পরিলক্ষিত হয়।
রমজানে সবচেয়ে বড় ইতিবাচক পরিবর্তন আসে মসজিদ-মাদরাসার পরিবেশে। দেশের প্রতিটি মসজিদ মুসল্লিদের পদভারে সরগরম হয়ে ওঠে। তেলাওয়াত, তালিম, জিকির-আজকার, সালাত ইত্যাদিতে ব্যস্ত থাকে সবাই। জীবন্ত মসজিদের যে চিত্র আমরা কল্পনা করি রমজানে তার কিছুটা নমুনা দেখতে পাই। সেহেরি থেকে শুরু করে তারাবি পর্যন্ত রোজাদারের প্রতিটি আমল ও পদক্ষেপ মসজিদকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়। দেশের মাদরাসাগুলোতেও আসে বিপুল পরিবর্তন। অধিকাংশ মাদরাসায় লেখাপড়ার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও চলতে থাকে বিশেষ কিছু কার্যক্রম। রমজানব্যাপী চলমান বিভিন্ন কোর্সের অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের উপস্থিতি মাদরাসার পরিবেশকে করে তুলে প্রাণবন্ত ও সজীব। তেলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল ও আমলি অনুশীলনের এক মোহনীয় পরিবেশে ছাত্ররা নিজেদের জীবন গড়ার সুযোগ লাভ করে থাকে।
দিনশেষে ইফতারের সময় সৃষ্টি হয় এক জান্নাতি পরিবেশ। দিনের শেষ প্রহরে নানা ধরনের ইফতারির দোকান বসে বিভিন্ন হোটেলের সামনে, রাস্তার ধারে কিংবা বাজারে। ভোজনরসিক বাঙালির ইফতারের আইটেমও হয় বিচিত্র ধরনের। এশার নামাজের পরই শুরু হয়ে যায় রমজানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত তারাবির নামাজ। অধিকাংশ মসজিদে খতমে তারাবি হয়। হাফেজদের সুললিত কণ্ঠের তেলাওয়াতে মসজিদে মসজিদে সৃষ্টি হয় সমধুর পরিবেশ। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে একাধারে দীর্ঘ বিশ রাকাত নামাজ আদায় করেও মুসল্লিদের মধ্যে সতেজ ভাব থেকেই যায়। রমজানের শেষ দশকে মসজিদগুলো আরও বেশি প্রাণময় ও সজীব হয়ে উঠে। আমলি বসন্তের শেষ দিনগুলোর পূর্ণ ফায়দা পেতে মুসল্লিদের মধ্যে অঘোষিত এক প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যায়। অনেকেই রমজানের শেষ দশকের পূর্ণ ফজিলত লাভের আশায় দশ দিনের ইতেকাফে বসেন। জুমাতুল বিদা ও লাইলাতুল কদরকে কেন্দ্র করে মসজিদে লোকের ভিড় বিশাল আকার ধারণ করে। এভাবেই তাৎপর্যপূর্ণ ও পবিত্রতম মাস রমজান বাংলাদেশের মুসলমানদের মধ্যে বৈশিষ্ট্য ও স্বাতন্ত্রে অনাবিল এক আবহ সৃষ্টি করে আসছে যুগ যুগ ধরে।
দুই,
পবিত্র রমজানে দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ বাংলাদেশের ইতিবাচক কিছু চিত্রের কথা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু রমজানকে কেন্দ্র করে নেতিবাচক কিছু অভিজ্ঞতাও আমাদের রয়েছে। সারা বছর নিত্যপণ্যের বাজার অনেকটা স্থিতিশীল থাকলেও রমজানে হু হু করে বাড়তে থাকে পণ্যের দাম। পৃথিবীর আর কোনো দেশে এমনটা হয় বলে আমাদের জানা নেই। এমনকি অনেক মুসলিম দেশে রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যমূল্য স্বাভাবিকের তুলনায় কম রাখেন। বাংলাদেশের চিত্র এর উল্টোটা। রমজান এলে কমবেশি নিত্যপণ্যের দাম বাড়েই। এর জন্য ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট যেমন দায়ী তেমনি দায়ী আমাদের খাই খাই মনোভাব। রমজান সংযমের মাস জানার পরও আমরা রমজানে ভোজনবিলাসে অসংযমী হয়ে উঠি। সারাদিন উপোস থেকে প্রবৃত্তিকে শায়েস্তা করলেও ইফতারের মুহূর্তে আমরা প্রবৃত্তির গোলাম হয়ে যাই। আমরা রমজানে খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে একটু সংযমী হলে ব্যবসায়ীরা এই সুযোগটুকু পেতো না।
সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না বলে আশ্বাস দেয়া হয়। কিন্তু কোনোবারই পুরোপুরি রক্ষা হয় না। সব না হলেও রমজানে কিছু কিছু পণ্যের দাম বাড়বেই। যাদের সীমিত আয়, নুন আনতে যাদের পান্তা ফুরায় তাদের জন্য নিত্যপণ্যের দাম সামান্য বাড়লেও তা বাড়তি বোঝা মনে হয়। রমজানে যেখানে মানুষকে একটু স্বস্তি দেয়ার কথা সেখানে তাদের জন্য বাড়তি বোঝা আরোপ করা নিঃসন্দেহে অন্যায়। একটি শীর্ষ মুসলিম দেশের জন্য তা খুবই দুঃখজনক। এজন্য সরকারকে নিছক ঘোষণা আর আশ্বাস না দিয়ে কার্যকরী উদ্যোগ নেয়া দরকার। কর্তৃপক্ষ সোচ্চার হলে নিত্যপণের দাম বাড়ার কথা না। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই অনাচারের সুযোগ পায় এক শ্রেণির সুযোগসন্ধানী। তাদের ব্যাপারে সরকারকে অবশ্যই সোচ্চার হতে হবে।
সামগ্রিকভাবে রমজানে আমাদের দেশের পারিপার্শ্বিক চিত্রগুলো সন্তোষজনক থাকলেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবই অস্বস্তিকর। যেমন রমজানে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়ার মতো নয়। অথচ আমাদের শহরগুলোর চিত্র হলো, আঁটোসাঁটো পর্দা টানিয়ে ভেতরে চলে খাওয়া-দাওয়ার ধুম। আবার কোথাও কোথাও এই নামমাত্র পর্দাটি ঝুলানোর প্রয়োজনও বোধ করে না। যে দেশের প্রায় ৯০ ভাগ মুসলমান সে দেশে রমজানে দিনের বেলায় প্রকাশ্যে খাওয়া-দাওয়া অবশ্যই অন্যায়ের। কেউ কেউ বলতে পারেন, বাকি ১০ ভাগের কী হবে? হ্যাঁ, বাকি ১০ ভাগকে রোজা রাখতে কেউ বাধ্য করবে না, তবে তাদেরও উচিত সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের ধর্মীয় পবিত্রতা রক্ষায় সহযোগিতা করা। সরকারিভাবে এ ব্যাপারে উদ্যোগী ভূমিকা থাকলে রমজানের সামগ্রিক পরিবেশটা আরও সুন্দর হতো। কিন্তু আমাদের দেশের প্রশাসনের আন্তরিকতার যথেষ্ট অভাব রয়েছে।
রমজানে কেউ পূত-পবিত্র জীবনযাপন করতে চাইলেই তা করতে পারে না। পারিপার্শ্বিক প্রতিবন্ধকতাগুলো মাড়িয়ে যাওয়া অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না। রাস্তাঘাটে নারীদের খোলামেলা বিচরণ এক্ষেত্রে একটি বড় প্রতিবন্ধকতা। টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে রমজানকেন্দ্রিক অনেক অনুষ্ঠান হলেও বাকি সময়গুলোতে যা প্রদর্শন করা হয় তা কোনোভাবেই একজন রোজাদারের জন্য সহায়ক না। ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে রমজানজুড়ে যে কেনাকাটার ধুম পড়ে এটাও একজন প্রকৃত রোজাদারের জন্য সহায়ক নয়। রমজানে প্রতিটি পরিবারে চাহিদা বেড়ে যায়। ফলে পরিবারের কর্তাব্যক্তিটিকে বাড়তি ইনকামের চিন্তা করতে হয়। এজন্য অনেকের ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও বাধ্য হয়ে অবৈধভাবে ইনকামের পথে পা বাড়াতে হয়। অন্য যেকোনো মাসের চেয়ে রমজানে ঘুষের আদান-প্রদান বেড়ে যায়, যা খুবই দুঃখজনক। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এই সবগুলো বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখা দরকার।
তিন.
একজন রোজাদারের সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে রোজার বাহ্যিক দাবিগুলো পূরণ করা। সুবহে সাদিক থেকে সূর্যান্ত পর্যন্ত পানাহার ও জৈবিক চাহিদা পূরণ থেকে বিরত থাকা। পাশাপাশি প্রবৃত্তি ও অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের যাবতীয় অবৈধ কামনা-বাসনা থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। পেটকে যেমন খাদ্য চাহিদা পূরণ থেকে বিরত রাখবে, তেমনি জিহ্বাকেও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এমন যেন না হয় যে, খাদ্যাভাবে পেটের জ্বালাপোড়া সৃষ্টি হলো কিন্তু মিথ্যা, পাপাচার, কুৎসা ইত্যাদি দ্বারা জিহ্বা তরতাজা হয়ে উঠল। রাসুল সা. ইরশাদ করেন, ‘কেউ যদি মিথ্যা কথা বলা ও তদানুযায়ী কাজ করা পরিত্যাগ না করে তবে তাকে শুধু খাদ্য ও পানীয় পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই (বুখারি)। বাকসংযম করতে না পারলে রোজার প্রকৃত দাবি পূরণ হলো না। যারা অধিক বাকপ্রবণ তারা রোজার দিনে তাদের জিহ্বার লাগাম টেনে ধরতে হবে। মজলিস মাতানোর খায়েশ নিবারণ করতে হবে। প্রয়োজনে রমজানে অসামাজিক আখ্যা পেলেও বাজে বৈঠক পরিত্যাগ করা উচিত। যেখানে গেলে জিহ্বা খোরাক পেয়ে যেতে পারে সে স্থানে যাওয়াই অনুচিত। যাদের জিহ্বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তাদের জন্য রাসুলের (সা.) প্রেসক্রিপশন হলো যথাসম্ভব কম কথা বলা। তিনি বলেন, ‘যে চুপ থাকে সেসব ধরনের আপদ-বিপদ থেকে হেফাজত থাকে।’ তবে উত্তম কথা ও দীনের আলোচনা অধিক হারে করতে পারলে জিহ্বা রোজার জন্য সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
রোজাদার তার আচরণকে মার্জিত রাখবে। রোজা রাখলে ক্ষুধা লাগা ও পিপাসা পাওয়া স্বাভাবিক। এর প্রভাব যেন কোনোভাবেই আচরণে ফুটে না ওঠে। অযথা রাগারাগি ও বাজে আচরণ রোজার পবিত্রতা নষ্ট করে। এর কারণে রোজার প্রতিদান থেকে বঞ্চিত হওয়ারও আশঙ্কা আছে। রোজা রেখে আগ বাড়িয়ে ঝগড়া ফাসাদ কিংবা কোনো ঝামেলায় জড়িয়ে পড়বে না। কেউ রোজাদারের সঙ্গে আগ বাড়িয়ে ঝামেলা বাধাতে এলে সরাসরি তাকে জানিয়ে দেবে যে, ‘আমি রোজাদার, আপনার সঙ্গে কোনো কিছুতে জড়াতে চাই না।’ হাদিসের এ নির্দেশনা পালন করলে আশা করা যায় কেউই রোজাদারকে উত্ত্যক্ত করার প্রশ্রয় পাবে না। কুপ্রবৃত্তির তাড়নায় কোনো হানাহানিতে জড়িয়ে গেলে উপোস থাকা হবে বৃথা। কারণ রোজার প্রধান দাবি সংযমতাই হলো না। রোজাদারের ধ্যান-ধারণাতেও যেন কোনো অন্যায় কাজ প্রশ্রয় না পায়। এ ধরনের কোনো কিছু মনে উদয় হলে সঙ্গে সঙ্গে মুছে ফেলা উচিত। অনেকে রোজা রেখে মানুষের অনিষ্ট করার ফন্দি আঁটতে থাকেন। কাকে কীভাবে ফাঁসানো যাবে এ চিন্তায় বিভোর হন। এটাও রোজার দাবির পরিপন্থী। প্রকৃত রোজাদার থেকে মানুষরা নিরাপদ থাকবে-এটাই কাম্য। রোজা রেখে দুনিয়া অর্জনের পেছনে অন্ধ হয়ে চলা যাবে না। রোজার মাস এলে অনেকেই ইনকামের সোর্স বাড়িয়ে দেন। অবৈধভাবে উপার্জন করতেও কুণ্ঠিত হন না। একজন রোজাদারের জন্য এটা খুবই জঘন্য কাজ। হারাম উপার্জন ও হারাম খাদ্যে রোজা রেখে কোনো ফায়দা আশা করা যায় না। যাদের উপার্জনের উৎ্স সম্পূর্ণটাই হারাম, তারা এ মাসে অন্য কোনো উৎস বা উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
গরিব-দুঃখীর পাশে দাঁড়ানো রমজানের অন্যতম লক্ষ্য। রোজা ফরজ করার একটি বিশেষ উদ্দেশ্য হলো দুঃস্থ অসহায় মানুষের ব্যথানুভূতি; যারা প্রাচুর্যের খনিতে বাস করেন তারা এ মাসে গরিব-দুঃখীদের ব্যথা কিছুটা হলেও বুঝেন। রমজানকে বলা হয় ‘সহানুভূতির মাস’। এই মাসে অধীনস্থদের কাজের চাপ কমিয়ে দেয়া, তাদের সুযোগ-সুবিধার দিকে নজর রাখা রোজাদারের কর্তব্য। যারা সেহেরিতে একমুঠো অন্ন ও ইফতারিতে একটি খোরমাও যোগানোর সামর্থ্য রাখে না, রমজানের দাবি হচ্ছে তাদের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেয়া। সদকা, ফিতরা, জাকাত ও অন্যান্য দানের দ্বারা তাদের সহযোগিতা করা যায়। একজন রোজাদারকে ইফতার করানো অনেক বড় সওয়াবের কাজ। সামর্থ্যবান রোজাদাররা গরিব-দুঃখীদের ইফতার করিয়ে বিশেষ সওয়াবের ভাগিদার হতে পারেন। রমজানের প্রতিটি ইবাদত একনিষ্ঠভাবে পালন করা মুমিনের কর্তব্য। রোজাদারদের সার্বক্ষণিক লক্ষ্য রাখতে হবে কীভাবে তার জীবনের প্রাপ্তির খাতায় কিছু সংযোজন করা যায়।
রমজান মুমিনের আমলের বসন্তকাল। মুমিনের জীবনে গতি আনাই রমজানের অন্যতম লক্ষ্য। দীর্ঘ এগার মাসে সৃষ্ট মরীচিকা দূর করতেই রমজানের সব প্রয়াস। এজন্য আমলি পরিবর্তন সাধন না করা গেলে রমজানের দাবি উপেক্ষিত থেকে যায়। রমজানে প্রতিটি আমলের জন্য ন্যূনতম সত্তর গুণ বেশি সওয়াবের অঙ্গীকার করা হয়েছে। এ মাসে বিশেষ কিছু মুহূর্ত রয়েছে যেমন- শবে কদর, লাইলাতুল ঈদ, জুমাতুল বিদা ইত্যাদিতে আমল করতে পারা সৌভাগ্যের বিষয়। মুমিনের জীবনে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে? এজন্য রমজানের প্রাপ্তি নিশ্চিত করাই একজন মুমিনের প্রধান কর্তব্য।